Loading..

প্রকাশনা

০৬ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আজ বঙ্গমাতার ৯১ তম জন্মদিন। আজকের দিনে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর মহীয়সী নারী বঙ্গমাতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,

প্রেরণা দিয়াছে,শক্তি দিয়াছে,বিজয়-লক্ষ্মী নারী”

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কথাটির যথার্থ সার্থক হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে চলার পথে।

টুঙ্গীপাড়ার খোকা থেকে শেখ মুজিব,শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু,আর বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পিছনে যে মহীয়সী নারীর অবদান অনস্বীকার্য, তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

৮ আগস্ট মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। ১৯৩০ সালের এই দিনে মধুমতি নদীর তীরবর্তী শ্যামল ছায়া ঘেরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্যের অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক দুঃখ কষ্ট দুর্ভোগ মোকাবেলা করেছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই না, ছিলেন পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেমন সংসারকে সামলিয়েছেন, আবার বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তখন দলকে সামলানোর দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনো সামনে আসেননি,পর্দার আড়াল থেকে নিরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস বঙ্গমাতা অসীম সাহস, দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।স্বাধীনতার পর বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশ্য বঙ্গমাতা বলেছিলেন,‘

আমি তোমাদের মা।এই বীরাঙ্গনা রমণীদের জন্য জাতি আজ গর্বিত।শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব ছিলেন মনে প্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী।এই মহীয়সী নারী ছিলেন সহজ সরল নিরহঙ্কারী। স্বামী স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর আজীবন সুখ-দুঃখের সঙ্গী মৃত্যুকালেও সঙ্গী হয়েছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আজ বঙ্গমাতার ৯১ তম জন্মদিন। আজকের দিনে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর মহীয়সী নারী বঙ্গমাতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি