সহকারী অধ্যাপক
২৭ আগস্ট, ২০২১ ০১:০০ পূর্বাহ্ণ
কবে খুলবে স্কুল-কলেজ, সিদ্ধান্ত ১ সেপ্টেম্বর।
কবে খুলবে স্কুল-কলেজ,
সিদ্ধান্ত ১ সেপ্টেম্বর
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ১
সেপ্টেম্বর (বুধবার) আবার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। যৌথসভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে
দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তা জানিয়ে দেওয়া হবে।আজ
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় এ
সিদ্ধান্ত হয়।সভায় যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির
হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব
হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, করোনাবিষয়ক জাতীয়
টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সমিতির সভাপতি শেখ কবিরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।সভার
সিদ্ধান্ত হয়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে
থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে
শিক্ষার্থীরা পারিবারিক পরিমণ্ডলে কোলাহলের মধ্যে থাকে এই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের
মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কি-না সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির
পরামর্শ চাওয়া হবে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল
রি-ওপেনিং প্ল্যান করে রেখেছে তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে
এই রি-ওপেনিং প্লানকে আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে
দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি-না তার জন্য প্রত্যেকটি
প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করবে এবং প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করবে। আগামী সাত
দিনের মধ্যে মনিটরিং প্রতিবেদন তৈরি করার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের যে সমস্ত শিক্ষার্থী
এর মধ্যে টিকা নিয়েছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, টিকা গ্রহণের
জন্য রেজিস্ট্রেশন করেনি কিন্তু শিক্ষার্থীর এনআইডি আছে, যাদের এনআইডি নেই কিন্তু
তাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে এবং যাদের বয়স এখনো ১৮ হয়নি তাদের একটি তালিকা
প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাদের এনআইডি
নেই কিন্ত তাদের বিয়স ১৮ এর ওপর তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি পাওয়ার বিষয়ে
নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলবে। তারপর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। টিকাপ্রাপ্ত
শিক্ষার্থীদের শরীরে অ্যান্টিবডি হওয়ার জন্য ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা
করবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে
দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।