Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:০৯ অপরাহ্ণ

সেইফ লিঙ্ক

সকল সেবামূলক কর্মকে এক সুতোয় রেখে কমিউনিটির ভিত্তিতে প্রাথমিক

বিদ্যালয়কে সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পন হিসেবে চিহ্নিত করা। বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার

শিক্ষার্থীদের অভিবাবক বিশেষ করে মাতাদেরকে গৃহ শিক্ষক গঠনে একটি

গঠনমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন করার দৃপ্ত অঙ্গীকার আর সেই অঙ্গীকারের

অংশ হিসেবে প্রথমে ক্যাচমেন্ট এবং  পরবর্তীতে  ক্লাস্টারের প্রধান

শিক্ষকদের নিয়ে যৌথ উদ্দোগে একটি কার্যকরি কমিটি গঠন করা।

একটি বাড়িতে একজন গৃহ শিক্ষক  এভাবে দশটি বাড়ির দশজন মাতাকে নিয়ে

একটি কমিউনিটি শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মাতাদেরকে একজন শিক্ষক

প্রশিক্ষন প্রদান করবেন প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে মায়েরা শিখে  তাদের নিজ

সন্তানকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেয়া বাড়ির কাজ গুলো অনুশীলন করাবেন

ফলে সন্তান এবং তার মায়ের সাথে আন্তরিকতা সৃষ্টির মাদ্যমে  শিশুদের

লেখা-পড়ার এক  ভিন্নধর্মী কৌতূহল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে। এভাবে প্রতিটি

ঘর হবে একটি আদর্শ পরিবার – এই আইডিয়াটি কার্যকর হলে আপনার সন্তানকে

আর কোথাও যেতে হবেনা সুতরাং শিশুর জীবন হবে নিরাপদ ।বাস্তবায়ন কৌশলঃ

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সিক্ষা অফিসারের সাথে সমন্বয় সাধন

করে সাপ্তাহিক, মাসিক  এবং বাৎসরিক অনলাইন কনফারেন্সিং জুম/ গুগল

মিটের মাধ্যমে কমিউনিটি শিক্ষা কেন্দ্রকে সাধারন মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনার

ক্ষেত্র হিসেবে উম্মোচন করে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এই পদ্দতিতে অন্তর্ভুক্ত করলে

প্রতিটি মা , পরিবার , সমাজ , বিদ্যালয় ও রাষ্ট্র হবে উন্নত।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান , জাতীয় সংসদ সদস্য

এবং দেশের কর্নধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পরিবারের সদস্য হিসেবে  বিবেচিত হবেন।

একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক হবেন সভাপতি এবং  উদ্ভাবক হবেন সম্পাদক।

মা ও শিশুর যোগাযোগ যদি হয় সুদৃঢ় , কমিউনিটি যদি হয় আলোকিত তবেই

রাষ্ট্রযন্ত্র পাবে হাজারো শিক্ষিত মা আর সেই মায়েরাই জন্ম দিবে সু-সন্তান আর

সু-সন্তানরাই গড়বে মুক্তিযুদ্দের চেতনার সোনার বাংলাদেশ।

মন্ত্রনালয়ের একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে আইডিয়াটি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক

শিক্ষার সহায়ক হবে বলে মনে করছি।