Loading..

খবর-দার

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:২৫ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জ এম্বাসেডর টীমের উদীয়মান শিক্ষিকা সালমা শিলার অজানা কথা।

২০১৬ সালের দিকে আমি যখন শিক্ষক বাতায়নে প্রবেশ করি তখন হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক স্কুল/কলেজ পর্যায়ের সীমাবদ্ধ ছিল। প্রায় দুবছর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসলেও প্রাইমারী স্কুলে কাওকে পাচ্ছিলাম না। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে কামারখন্দেই পরিচয় হয় Salma Khatun Shila ম্যাডামের সাথে। অল্প দিনেই উনি কনটেন্ট তৈরী করে সেরা কনটেন্ট নির্মাতা নির্বাচিত হোন এবং আইসিটিফরই জেলা এম্বাসেডর নির্বাচিত হয়ে জেলা টীমে আত্বপ্রকাশ ঘটান। সিরাজগঞ্জ জেলায় উনিই প্রথম যে কিনা বিদ্যালয় হতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা পান এবং নিজ বাসায় অন্যন্যা সেরা কনটেন্ট নির্মাতাদের বাসায় আপ্যায়ন করে আন্তরিকতার শুভ সূচনা সৃষ্টি করেন। আস্তে আস্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে আইসিটি শিক্ষার প্রচার ও আগ্রহীদের এম্বাসেডর হবার উৎসাহ সৃষ্টি করে ৪/৫ জন নতুন মুখ বের করে আনেন। এরই মধ্যে শিক্ষক বাতায়নে উদ্ভাবনী গল্পও আপলোড করে চলেছেন প্রায় ৩৪ টির মত। অভ্যন্তরীন বিভিন্ন শিক্ষকের বিপদে আপদে অসুস্থতায় উনি ছুটে চলেছেন এবং সমাধান করেছেন। বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগীয় কনটেন্ট নির্মাতা ফোরামের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী যখন চুড়ান্ত করা যাচ্ছিল না তখন উনার নেতৃত্ব একটা টীম সহজেই সমাধান করে ফেলেছেন। করোনা কালীন সময়ে তার বাসায় অস্থায়ী ভেন্যু হিসেবে অনেক শিক্ষককে ওবিএস শিখিয়েছেন এবং অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ করে দিয়েছেন যা আর কেহ দেন নি শহরের মধ্যে। জেলা প্রশাসনের সাথে বেশ কটি মিটিং এবং উপস্থিতি বক্তৃতা করে প্রসংশাও কুড়িয়েছেন। পারিবারিকভাবে দুটি মেয়ে সন্তান শহরের ভাল স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন মেধা কোঠায়। বিভিন্ন কমিটির পদ পদবীতেও উনি লোভ লালসা দেখান নাই। শিক্ষক বাতায়নের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষকদের কাছে দোযা প্রার্থনা করছি যেন উনি উনার মেধা,যোগ্যতা দিয়ে যেন নিজ জেলাসহ দেশ কে এগিয়ে নিতে পারে।