Loading..

খবর-দার

০৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ

"ছাত্রীর শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে শিক্ষকের পাঠদান "

"ছাত্রীর শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে শিক্ষকের পাঠদান "


মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। বন্ধের মধ্যেই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়, কোলজুড়ে আসে সন্তান।


স্কুল খুললে শিশু সন্তানকে নিয়েই ক্লাসে হাজির হন ওই শিক্ষার্থী। ফলে পাঠে মনোযোগী হতে না পারায় ছাত্রীর শিশু সন্তানকে কোলে নিয়েই পাঠদান শুরু করেন শিক্ষক।


রোববার (৩ অক্টোবর) এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছবিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ মধুর।


করোনা সংক্রমণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়, পরে ওই স্কুলছাত্রী সন্তানের জন্ম দেন। স্কুল খোলার পর ওই ছাত্রী স্কুলে না আসায় শিক্ষক পঙ্কজ মধু জানতে পারেন তার বিয়ে হয়ে গেছে।


পরে তিনি ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসার জন্য খবর পাঠান।

রোববার সকালে ওই ছাত্রী স্কুলে আসেন, তবে সন্তানের জন্য তিনি ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। সেজন্য শিক্ষক পঙ্কজ তার ছাত্রীর সন্তানকে নিজের কোলে নিয়ে পাঠদান শুরু করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক পঙ্কজ মধু বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ঘোষণার পর দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তার পরিবার বিয়ে দিয়ে দেয়। সম্প্রতি বিষয়টি জানার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে ওই ছাত্রী তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে স্কুলে আসে।

আমি ওই ছাত্রী ও তার স্বামীকে বুঝিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলি। তখন সেই ছাত্রী তার কোলের শিশুকে নিয়ে ক্লাস রুমে বসে। কিন্তু কোলের শিশুর জন্য মনোযোগ দিতে না পারায় আমি শিশুটিকে কোলে নিই।

চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন জানান, পঙ্কজ মধু শিক্ষক হিসেবে খুবই আন্তরিক। তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেন।