Loading..

খবর-দার

২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০৬:২৭ অপরাহ্ণ

হল খোলা রেখে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চান জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

হল খোলা রেখে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চান জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় হল খোলা রেখে সশরীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চলমান রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় হল বন্ধ করা ঠিক হবে না। কেননা হল বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে যাবেন, ফলে সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জোর দিতে হবে।

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিগার ‍সুলতানা বলেন, ‘এর আগে হল বন্ধ ছিল, সে সময় দেখা গেছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পড়াশোনার ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটেছে। হল খোলা থাকলে অন্তত মানসিক বিপর্যয়ের সুযোগ থাকবে না। আমরা সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব।’ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং বিভাগগুলোর সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে কর্মরত ৬০২ জন শিক্ষকের মধ্যে সশরীর ক্লাস শুরুর পর ৭০ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অংশীজনদের করোনা শনাক্তের এই হার “হার্ড ইমিউনিটির”ইঙ্গিত করে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে সারা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাঁদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের ঝুঁকিতে ফেলার মতো বোকামি আশা করি প্রশাসন করবে না।’ প্রয়োজনবোধে ক্যাম্পাসের কোনো একটি ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করার প্রস্তাবও দেন তিনি।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে যাঁরা আছেন, তাঁরা অন্তত এক ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষা, টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি তাজউদ্দিন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা প্রবণতা লক্ষ করা গেছে যে টিকা নিলেই আর করোনা হওয়ার ভয় নেই। কিন্তু পরিস্থিতি এমন নয়। টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য রাশেদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের প্রজ্ঞাপন দেখেছি। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকের (শুক্রবার) মধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব বলে আশা করছি।’