Loading..

খবর-দার

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সুন্দরবনকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলা হচ্ছে

ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় আঘাত থেকে সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে এই বনকে রক্ষা করা জরুরি। কিন্তু সুন্দরবনকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার ‘সুন্দরবন দিবসে সুন্দরবনের গল্প’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবেসে বনটি রক্ষা করার অঙ্গীকার করতে হবে। এই বনের চারপাশে শিল্পকারখানা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো ভারী অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।অনুষ্ঠানে বাপার সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, সুন্দরবন না থাকলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার সব বাঁধ ভেঙে যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটা উপলব্ধি করে বনটি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন, উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের বসতি এই বন না থাকলে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং ঘূর্ণিঝড় দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত আঘাত করবে।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের সুন্দরবনকে ভালোবেসে এটি রক্ষা করতে কাজ করতে হবে।’জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আজ (গতকাল সোমবার) অনেকগুলো দিবস। সুন্দরবন দিবস, ভালোবাসা দিবস, স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। এসব দিবসের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কারণ, সুন্দরবনের ওপরে যদি স্বৈরাচারী কায়দায় আক্রমণ হয়, তাহলে এর প্রতি ভালোবাসা থাকলে এটি রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকারের নেতৃত্বে গোষ্ঠীগতভাবে সুন্দরবনকে হত্যার জন্য কাজ করা হচ্ছে। চীন ও ভারত সুন্দরবনের দুদিকে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে।

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশে বিদ্যুতের কোনো সংকট নেই। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার কারণে সরকারকে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের চারপাশকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গেছে। মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় নানা শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধু চরসহ নতুন জেগে ওঠা চরকে কেন্দ্র করে পর্যটন বাণিজ্যের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এর ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে।

বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, সরকার জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকোর অনুরোধে একটি কৌশলগত সমীক্ষা করছে। এর উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু এতে দূষণকারীরা কীভাবে বৈধতা পাবে, সেই আয়োজন করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সমীক্ষা করার কথা থাকলেও দেশের বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের আগুন লাগিয়ে দেন। সেই জায়গায় বর্ষাকালে মাছ আসে। সেগুলো তাঁরা সংগ্রহ করেন। এভাবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন সুন্দরবনের ভেতরে সাত-আটটি লঞ্চ যাচ্ছে। সেগুলোর শব্দ ও খাবারের প্যাকেট বনের ক্ষতি করছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারের সমীক্ষার বাইরে পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে পাল্টা সমীক্ষা করা দরকার বলে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মহসীনুল হাকিম, বাপা মোংলা কমিটির আহ্বায়ক নুরে আলম শেখসহ পরিবেশবাদীরা অংশ নেনসঙ্গে তারা আলোচনা করেনি।

অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যে সুন্দরবনের ক্ষতির নানা চিত্র উঠে আসে। তাঁরা বলেন, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সুন্দরবনের মধ্যে গর্ত তৈরির জন্য সেখানে