Loading..

খবর-দার

১৭ মার্চ, ২০২২ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

বিমুখ পাঠক ফেরাতে কী করছে পাবলিক লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ?
img
MD.AMINUL ISLAM

সহকারী শিক্ষক

বাংলাদেশে গত এক দশকে পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠকের সংখ্যা অনেক কমেছে। ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলাতেই তরুণদের পাঠাভ্যাসে যেমন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তেমনি অনেক জায়গাতেই পাড়া-মহল্লার পুরনো ছোট লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ গ্রন্থাগার অধিদফতরের অধীনে দেশে মোট ৭১টি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। এর বাইরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাথে যুক্ত লাইব্রেরির সংখ্যা প্রায় এক হাজারের মত।

এছাড়া বিশেষ গ্রন্থাগার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাইব্রেরি আছে আরো প্রায় দেড় হাজারের মত। কিন্তু এইসব গ্রন্থাগারের বেশিরভাগই পাঠক আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে। যারা পড়তে যান তাদেরও বড় অংশ যান চাকরির পরীক্ষা বা বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে।

কী অবস্থা দেশের পাবলিক লাইব্রেরিগুলোর?

বাংলাদেশে গত এক দশকে পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠকের সংখ্যা অনেক কমেছে।

একদিকে গত এক দশকে পাঠক কমে যাওয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু জেলাতেই পাবলিক লাইব্রেরিগুলোর অবস্থা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে, সেই সাথে অনেক জায়গাতেই পাড়া-মহল্লার পুরনো ছোট লাইব্রেরিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এজন্য তরুণদের মধ্যে পাঠাভ্যাসে যেমন ঘাটতিকে যেমন দায়ী করা হয়, তেমনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের জিজ্ঞাসা আর কৌতূহল মেটানোকেও কারণ বলে মনে করেন কেউ কেউ।

অন্যদিকে, পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে যথেষ্ট বই না পাওয়া এবং আধুনিকায়ন না হওয়া নিয়ে পাঠকদেরও অভিযোগ আছে বিস্তর।

বাংলাদেশের প্রধান পাবলিক লাইব্রেরী, শাহবাগের সুফিয়া কামাল গণগ্রন্থাগারটির চারটি রিডিং রুমের তিনটি-ই এই মুহূর্তে বন্ধ। বাকি একটি রিডিং রুমে পাঠক-সংখ্যা এখন অনেক কম।কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারির সময় বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল গ্রন্থাগার।

এরপর যখন খোলা হয়েছে তখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন বিন্যাস করতে গিয়ে সেখানে পাঠকের আসা কমাতে হয়েছে।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ স্বীকার করছে, সামগ্রিকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগের চেয়ে পাঠক সংখ্যা অনেক কমেছে।

সুফিয়া কামাল গণগ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের আগেও সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাঠক আসতেন। কিন্তু ২০২২ সালে সে সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১৪৮ জনে।

কেন পাঠক আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না?

পাবলিক লাইব্রেরি যেখানে মূলত নানা বয়সের এবং আগ্রহের পাঠকের জন্য সাহিত্য, গবেষণা এবং বিষয়ভিত্তিক বই থাকে, সেই জায়গাটি যেন এখন তরুণ পাঠকের কাছে আর আগের মত আবেদন তৈরি করতে পারছে না।

পাঠক কমে যাওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষ বলে থাকেন পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু পাঠকদের অভিযোগ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বই না পাওয়া, নতুন প্রকাশিত প্রয়োজনীয় গ্রন্থের অপ্রতুলতা এবং পুরনো পরিচালনা পদ্ধতির কারণে লাইব্রেরি আকর্ষণ হারাচ্ছে।