Loading..

প্রকাশনা

১৯ মার্চ, ২০২২ ০৩:২১ অপরাহ্ণ

জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ জয়দেবপুরের পথ ধর, সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু কর’

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে,  গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা, জীবন্ত কিংবদন্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরম শ্রদ্ধেয় মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় এ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক মহোদয়ের নেতৃর্ত্বে  ১৯ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে জয়দেবপুর থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়।তারপর থেকে সারাদেশে মুক্তি পাগল মানুষের কন্ঠে বেজে উঠে একটা শ্লোগান,
জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ  স্বাধীন কর’ জয়দেবপুরের পথ ধর, সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু কর’ এ শ্লোগান'
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে স্বহস্তে লিখে একটি বাণী প্রদান করেছিলেন। বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি  কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে  প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতীত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই, আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
উক্ত সশস্ত্র প্রতিরোধে শহীদ হন হুরমত, নেয়ামত, মনুখলিফা সহ আরো অনেকে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি