Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৫ মার্চ, ২০২২ ০৩:৫৫ অপরাহ্ণ

আজ ২৫ মার্চ ২০২২খ্রি.

সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে পাকিস্তানিরা বাঙালি ধ্বংসযজ্ঞে নামে। বিশ্বের নৃশংসতম গণহত্যা শুরু হয় ২৫ মার্চের মধ্যরাতে। ভয়ংকর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী। হিংস্র শ্বাপদের মতো জলপাই রঙের ট্যাংকগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ-ইপিআর ব্যারাকের দিকে ধেয়ে যেতে থাকে।

বাংলা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখনই পাকিস্তানিরা অতর্কিতে হামলা চালায়। হঠাৎ করেই যেনো ঢাকার আকাশে-বাতাস গর্জে ওঠে রাইফেল, মেশিনগান আর মর্টারের গুলিতে। হত্যাযজ্ঞ চলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে। সে রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা গণমাধ্যমও রেহাই পায়নি জল্লাদ ইয়াহিয়ার পরিকল্পনা থেকে। অগ্নিসংযোগ, মর্টার শেল ছুঁড়ে একে একে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

২৫ মার্চ রাতে কি নৃশংসতম হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে তার পরেরদিনের লাশের মিছিল দেখে খুব সহজেই অনুমান করা যায়। তবে সেই ভয়াল রাতে কত বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে— এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকার ভাষ্য, কেবল ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় একলাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয়— ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

পাকিস্তানিরা বর্বর গণহত্যা আর রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে বাংলাকে দখল করে শোষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই নির্মম আক্রমণই বাঙালিকে আরো ক্রুদ্ধ করে তোলে আর স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি