Loading..

খবর-দার

০১ এপ্রিল, ২০২২ ০৫:৩৩ অপরাহ্ণ

ইমরান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল না, তখন পাকিস্তান ভালো ছিল: রেহাম

ইমরান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল না, তখন পাকিস্তান ভালো ছিল: রেহাম

অনাস্থা ভোটে গদি হারানোর শঙ্কার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একহাত নিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী রেহাম খান।  বৃহস্পতিবার ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ-পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এই সাংবাদিক বলেন, আপনি (ইমরান) যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখন পাকিস্তান অত্যন্ত ভালো ছিল।

আগামী রোববার ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। গদি হারাতে পারেন তিনি। এমন দুঃসময়ে সাবেক স্ত্রী রেহাম খানের কাছ থেকেও ভর্ৎসনা কুড়াচ্ছেন ইমরান খান। 

বৃহস্পতিবার এক টুইটে রেহাম বলেন, বুদ্ধি ছাড়া এই লোকটার সবই আছে।

রেহাম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তির ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ইমরানের ভাষণের প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠেন রেহাম খান।

রেহাম খান বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন, সেটি ইমরান খানের নেই। যেটি তার ভাষণেই প্রকাশ পেয়েছে।

ভাষণে ইমরান খান বলেন, বাল্যকালে তিনি পাকিস্তানের সমৃদ্ধি দেখেছেন। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে রেহাম বলেন, হ্যাঁ পাকিস্তান খুবই ভালো ছিল তুমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে।

ইমরান খান তার বক্তব্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিরোধীদের চাপ এবং সংসদে অনাস্থা ভোট আনা হলেও তিনি পদত্যাগ করবেন না। যুক্তরাষ্ট্র বিরোধীদের মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে রেহাম খান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খানকে ঝুঁকির মুখে ফেলেনি।

অনাস্থা ভোটে সংসদে ইমরান খানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর শঙ্কা নিয়ে রেহাম খান বলেন, কারণ ছাড়াই যারা উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ভুগেন তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষা। এ ধরনের লোক জীবনে কিছুই অর্জন করতে পারে না।

প্রসঙ্গত ইমরান খানের সঙ্গে রেহামের বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ব্রিটিশ-পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এ সাংবাদিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। এই প্রস্তাবের ওপর গতকালও জাতীয় পরিষদে আলোচনা শুরু করা যায়নি। অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় তা আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

আগামী রোববারই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ভোটের যে হিসাব, তাতে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন ইমরান।
জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন। জিও নিউজের হিসাব অনুযায়ী, বিরোধীদের হাতে আছে ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে ইমরানের পক্ষে আছে ১৪২ ভোট।