Loading..

প্রেজেন্টেশন

০৭ এপ্রিল, ২০২২ ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির কারণ সমূহ

বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির কারণ সমূহ



মুদ্রাস্ফীতির কারণ

মুদ্রাস্ফীতি প্রধানত দুটি কারণে হয়ে থাকে যথা- চাহিদা (Demand) এবং মূল্য (Cost) জনিত কারণে। 

যখন কোন পণ্যের চাহিদা গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়ে তখন "চাহিদা জনিত" কারণে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে পণ্যের সরবরাহ ব্যয় বেড়ে গেলে মূল্য জনিত মূল্যবৃদ্ধি হয়। 

১. চাহিদা জনিত মূদ্রাস্ফীতি

চাহিদা জনিত মুদ্রাস্ফীতি পণ্যের ক্রমবর্ধমান দামের সবচেয়ে বড় কারণ। চাহিদা জনিত মুদ্রাস্ফীতি তখনই ঘটে যখন পণ্য বা পরিষেবার জন্য ভোক্তার চাহিদা এত বেশি বেড়ে যায় যে এটি সরবরাহের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যে সমস্ত পরিস্থিতি চাহিদা জনিত মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে -
  • যখন মানুষের হাতে অতিরিক্ত অর্থ চলে আসে এবং এরফলে তার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
  • কালোবাজারি যত হবে জিনিসের দাম তত বাড়ে।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
  • সরকারের খরচ বৃদ্ধি। এরফলে সেই টাকাটা জনগণের পকেটে আসে।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক ভর্তুকি দিলে জিনিসের দাম বাড়ে।
  • সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঋণ বাড়লে।
মুদ্রাস্ফীতি মানে অনেক টাকা বাজারে ঘুরছে। সেক্ষেত্রে (ডলারের সাপেক্ষে) টাকার দাম কমবে। সুতরাং, গ্রাহকরা যখন অতিরিক্ত ব্যয়যোগ্য অর্থ আয় করেন তখন চাহিদা জনিত মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। মানুষের হাতে ব্যয় করার জন্য অতিরিক্ত অর্থের যোগান থাকলে তখন মানুষ আরও পণ্য এবং পরিষেবা ক্রয় করতে চায় এবং তাদের সেই ক্ষমতা থাকে।

২. মূল্য জনিত মূদ্রাস্ফীতি

বাজারে যখন কোন পণ্যের অতিরিক্ত চাহিদার সৃষ্টি হয় এবং তার সঙ্গে যৌথভাবে পণ্যের সরবরাহে প্রভূত ঘাটতি দেখা দেয়, তখন সেই পরিস্থিতিতে প্রস্তুতকারককে পণ্য বা পরিষেবার দাম বাড়ানোর একটি সুযোগ তৈরি করে দেয় এবং মূল্য জনিত মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। তবে মূল কারণ হলো- যখন কোনো জিনিস তৈরি করতে যে সামগ্রীগুলো লাগে তার দামের যখন বৃদ্ধি পায়, তখন সামগ্রিকভাবে দ্রব্যটির মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। 

কোনো দ্রব্য উৎপাদন করতে প্রধানত চারটি বস্তু লাগে, যথা- জমি (Land ), শ্রমিক (Labour), মূলধন (Capital), এবং উদ্যোক্তা (Entrepreneur)। একে আমরা বলি "factors of production" বা উৎপাদনের উপাদান। এই সব মিলিয়ে যে খরচটা হয়, সেটাকে বলে "Factors Cost বা উৎপাদন খরচ"। ফলে এখানে যদি কোনো কিছুর দাম বাড়ে, তাহলে ওই উৎপাদন খরচও বাড়বে। 

পাশাপাশি সেই দ্রব্যটি যখন বাজারে আসে তখন তার ওপর সরকার পরোক্ষ কর আরোপ করে। তারপর সেটার বাজারি মূল্য(মার্কেট প্রাইস) ঠিক হয়। এবার যদি সরকার ট্যাক্স বাড়ায় তাহলেও জিনিসের দাম বাড়বে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে খনিজ তেলের দাম বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ হতে পারে। খনিজ তেলের দাম বাড়া মানেই ট্রান্সপোর্ট বা পরিবহনের দাম বেড়ে যাওয়া।