Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২১ এপ্রিল, ২০২২ ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

আধুনিক যুগে সমাজ গঠন এবং প্রত্যাশিত উন্নয়ন ত্বরাম্বিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তথ ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ইংরেজি হলো ‘ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (Information and Communication Technology); যা সংক্ষেপে আইসিটি (ICT) নামে পরিচিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির মাধ্যমে উন্নত জীবন যাপন, মানব কল্যাণ, সম্পর্ক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব। আইসিটি এর মাধ্যমে পৃথিবীকে একটি বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ (Global Village) এ পরিণত করা যায়। বিশ্বকে জানা এবং নিজেদের দোরগোড়ায় আনা; শুধু আইসিটি কে জানা এবং আইসিটি শিক্ষা লাভের মাধ্যমেই সম্ভব।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি শিক্ষা কী? (What Is ICT Education?)

ICT এর পূর্ণরূপ হলো Information and Communication Technology; তথ্যের আদান প্রদানে কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে এখানে। কম্পিউটার আমাদেরকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে আমরা অনেক সময় অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনা।

আইসিটি আমাদেরকে ইন্টারনেট এবং আরো কিছু সুবিধার মাধ্যমে তথ্য যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। ফলে আমাদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বেড়েছে বহুগুণ। আর তাই কম্পিউটার শুধু একটি যোগাযোগ মাধ্যমই নয় বরং জ্ঞানআহরণ, তথ্য আদান প্রদান এবং ভৌগোলিক বাধা অতিক্রম করে সাচ্ছন্দে কাজ করার মঞ্চে পরিণত হয়েছে।

আইসিটি শিক্ষা হলো আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির  (Information and Communication Technology) ব্যবহার এবং এ  ইতিবাচক ও প্রত্যাশিত শিক্ষা।

আইসিটি ব্যবহার আমাদেরকে অজানা জ্ঞানের ধারণা দিয়েছে। আমরা কতটুকু জানি এবং কতটুকু জানি না তার একটি স্পষ্ট চিত্র আমাদের সামনে প্রতিফলিত হয়েছে।

আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমান জ্ঞানের স্তর এবং ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অপ্রতুলতা দিবালোকের মত প্রতিভাত হবে। নীতি নির্ধারক এবং দাতাগণ এ ক্ষেত্রে আইসিটি শিক্ষালাভ বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে পারেন। আইসিটি সংক্রান্ত শিক্ষার যাবতীয় দিক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনই হল আইসিটি শিক্ষা।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির যৌক্তিকতা 

বর্তমান যুগ আবিস্কারের নবযুগ। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির নতুন নতুন তত্ত্ব ও ব্যবহারিক দিক আমাদের ক্রমাগত সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন জাতিসমূহকে উদার সহযোগীতা, ব্যবসায় বাণিজ্য, সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহমর্মীতার অঙ্গীকার প্রদানের মাধ্যমে এক সম্প্রদায়ে পরিণত করেছে। 

তথ্যের সহজ বিশ্লেষণ, নির্ভুল এবং পরিচ্ছন্ন উপস্থাপন, সংরক্ষণ ও সৃজনশীল মেধা চর্চার এক অভূতপূর্ব ও অনুপম সুযোগ করে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। তথ্য প্রবাহের এ যুগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে দূরে রেখে শিক্ষার্থীদের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক শ্রম বাজারের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি