Loading..

খবর-দার

২১ এপ্রিল, ২০২২ ০১:০৫ অপরাহ্ণ

১৯ বছর ধরে চলমান সেই সিকিভাগ উৎসবভাতা রেখেই এমপিও শিক্ষকদের উৎসবভাতা-বেতন আগামী সপ্তাহে

এমপিও শিক্ষকদের উৎসবভাতা-বেতন আসছে সপ্তাহে

এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এবারো খণ্ডিত উৎসব ভাতাই পাচ্ছেন। আগের নিয়মেই শিক্ষকরা মূল বেতন স্কেলের ২৫ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে ঈদ উৎসব ভাতা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, সরকারি হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকরা ঈদের আগে শুধু উৎসব ভাতা পাবেন। এপ্রিলের বেতন পাবেন ঈদের পর। গত কয়েকবছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছে আসছেন। 

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসছে সপ্তাহের শুরুতেই এপ্রিল মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার চেক ছাড় হতে পারে। গত তিনদিনে তিনটি অধিদপ্তর থেকে আগের নিয়মেই উৎসব ভাতার চেক ছাড় করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে ফাইলগুলো সচিবদের টেবিলে ছিলো। সচিবদের সই হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সই হলে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ও এপ্রিলের বেতনের প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বা রোববার জিও জারি হবে বলে জেনেছি। জিও পেলে চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হবে।

এদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, মাদরাসা শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতার চেক ছাড়ের প্রস্তাব কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পাঠানো হয়েছে। জিও জারি হলে শিক্ষকদের উৎসব ভাতার চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী সপ্তাহে মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতার চেক ছাড় হতে পারে। 

এদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার সহকারী পরিচালক বিমল কুমার মিশ্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আগের হিসেবেই উৎসবভাতার প্রস্তাব আমরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পাঠিয়েছি। জিও পেলে চেক ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জানান, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে  প্রথমবারে মতো উৎসব-ভাতা পাওয়া শুরু করেন তারা। সে সময়ে শিক্ষকদের বেতনের সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা দেয়া শুরু হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি  এ হারেই তারা উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।  

২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতনের ৯০ শতাংশ সমপরিমান বেতন এমপিওভুক্ত শিক্ষককে দেয়া হতো। পরে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শর্তসাপেক্ষে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের শতভাগই সরকার থেকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই থেকে, অর্থাৎ ১৯ বছর ধরে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে দুই ঈদে দুটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। এর বাইরে বৈশখী ভাতা পান। যেটা চালু হয়েছে চার বছর আগে।  

বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান উৎসব-ভাতা বৈষম্য অবশ্যই নিরসন করতে হবে। এ ছাড়া সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেসব মৌলিক বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসনের ব্যবস্থা নিতে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য দূর হয়নি।

(সংগৃহীত)