Loading..

প্রকাশনা

১৫ মে, ২০২২ ০১:১৯ অপরাহ্ণ

সিলেটে যৌতুক প্রথার বিবর্তন
সিলেটে যৌতুক প্রথার বিবর্তন
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে দেখতাম একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফালং, চেয়ার, টেবিল, স্টিল- আলমারি ইত্যাদি রাখা থাকত । এগুলো যৌতুক হিসেবে কনের বাড়ির লোকেরা জামাইকে দিতেন বিয়ের দিন । - যৌতুকের এ ধরণকে (Variant) আমি নাম দিলাম " অতীত কালের যৌতুক প্রথা"।
এই একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে যৌতুক প্রথার আরও এক ধরন (Variant) লক্ষ্য করলাম । আগের মতো এ ধরনের যৌতুক প্রথায় জামাইকে যৌতুক হিসেবে ফালং, চেয়ার, টেবিল, স্টিল- আলমারি ইত্যাদি দেয়া হত। এ ধরনের যৌতুক প্রথায় জামাইকে যৌতুক বিয়ের আগের দিন কিংবা এর আগের দিন জামাইর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে । যৌতুকের এ ধরণকে আমি নাম দিলাম " আধুনিক কালের যৌতুক প্রথা"।
ইদানিং কালে যৌতুক প্রথার নতুন ধরনের (Variant) সাথে পরিচিত হলাম । এখানে কনের বাবা ১০-১২ লাখ টাকা খরচ করে UK Student Visa এর জন্য আবেদন করেন । আর ছেলেরা লন্ডন যাওয়ার আসায় ঐ মেয়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে পরেন । এ ধরনের বিয়ায় কন্যার বাবা জামাই পক্ষকে বলেন " বিয়ের আয়োজন ছুটো করে করতে হবে"। এখানে বরের বাবা কন্যার বাবার সব ধরনের প্রস্তাব মেনে নিতে অটো রাজী থাকেন । কারন মেয়ে ছেলেকে বিয়ে করছে । এ ধরনের প্রথায় মেয়ে গিয়ে জামাই দেখে । জামাই সাজুগুজু করে খাছমুছু হয়ে বসে থাকেন । বিয়ের আয়োজন যেহেতু ছোট মুটো (স্বল্প পরিসরে) করে আয়োজন করা হয়, তাই এ ধরনের বিয়ের আয়োজন হোটলে করা হয় । অতিথিদের নামে মাত্র খাওয়ানো হয় । এমনকি এ ধরনের বিয়েতে কোন অতিথির খাবার শেষ হতে না হতে হোটেলের কর্মীরা খাবার পেলেট নিয়ে যায় ! যৌতুকের এ ধরণকে আমি নাম দিলাম " অত্যাধুনিক কালের যৌতুক প্রথা"।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি