Loading..

প্রকাশনা

৩০ জুলাই, ২০২২ ০৮:৩৮ অপরাহ্ণ

ডিজিটাল যুগে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সংযুক্ত করতে অনলাইন কোলাবরেশন
ডিজিটাল যুগে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সংযুক্ত করতে অনলাইন কোলাবরেশন
‘অনলাইন কোলাবরেশন’ কথাটা শুনলেই মনে হতে পারে যে, অফিসে বসে কাজ করা কর্মীরাই এর সুবিধা ভোগ করে। কারণ অফিস ডেস্কের কর্মীরা বাসা থেকে কাজ করার সময় অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে উপকৃত হয়।
ডকুমেন্ট শেয়ার, স্প্রেডশিট তৈরি, চ্যাট অ্যাপে সহকর্মীদের সাথে কথা বলা বা জুম কলের মাধ্যমে মিটিংয়ে অংশ নেয়া যায় অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমেই। অথচ প্রতিষ্ঠানের সামনের সারিতে কাজ করা কর্মীরাও অনলাইন কোলাবরেশন-এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কোম্পানির উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন, তারা শুধু ডেস্কে কাজ করা কর্মীদের জন্যই অনলাইন কোলাবরেশনের ব্যবস্থা রাখেন না, বরং সামনের সারিতে কাজ করা কর্মীদেরকেও অনলাইন কোলাবরেশনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।
‘ডিজিটাল কমিউনিকেশন টেকনোলজি’র মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাজে সমন্বয় আনা যায় আর তাদের কাজে দক্ষতা আনাও সম্ভব হয়।
.
# মাঠপর্যায়ের কর্মীরা যেভাবে অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে
মাঠপর্যায়ে বা সামনের সারিতে কাজ করা কর্মীরা সাধারণত প্রতিদিনই নতুন সব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যায়। আর সেজন্য তাদের কাজ করতে হয় অপরিচিত সব মানুষদের সাথে।
উৎপাদন, খুচরা ব্যবসা বা সেবা খাতের মতো যেকোনো শিল্পে কাজ করা এসব কর্মীরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, সেগুলি সমাধান করার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন পড়ে তাদের।
অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মীদের একত্রিত করা সম্ভব। কর্মীরা যেখান থেকেই কাজ করুক না কেন, কোলাবরেশন টুল বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে এবং শেয়ার করতে পারে প্রয়োজনীয় তথ্য।
ভালো যেকোনো অনলাইন কোলাবরেশন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়:
• সহজেই ডকুমেন্ট, ভিডিও ও ছবি ব্যবহার এবং শেয়ার করার সুবিধা
• প্রয়োজন অনুসারে নোটিফিকেশন-এর ব্যবস্থা
• চ্যাট এবং মেসেজিংসহ বিভিন্নভাবে যোগাযোগের ব্যবস্থা
• বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের সুবিধা
• জরিপ বা সার্ভে করার সুবিধা
মোটকথা অনলাইনে যোগাযোগ বা কোলাবরেশনের ব্যবস্থা রাখা হলে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা সবসময় প্রয়োজনীয় তথ্য কাজে লাগাতে পারে।
এরপরও অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কীভাবে সুবিধা পেতে পারে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে। কারণ সামনের সারিতে কাজ করা কর্মীদের ই-মেইল আদান-প্রদান করতে হয় না আর কম্পিউটারের সামনেও সারাদিন বসে থাকতে হয় না। আর এজন্যই প্রতিষ্ঠানে এমন কোলাবরেশন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে, যেটা মোবাইল বা স্মার্টফোনেও খুব সহজে ব্যবহার করা যায়।
.
# যেভাবে অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে সমন্বয় আসবে
অনলাইন কোলাবরেশনের ব্যাপারে প্রথমেই একটা বিষয় বুঝতে হবে। আর সেটা হলো, প্রতিষ্ঠানে অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে কাজের সুবিধা রাখাটা কোনো ধরনের বিলাসিতা না। বরং এটা একটা প্রয়োজন। চাকরির বাজারে আগ্রহী কর্মীদেরকে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের কাজে খুব বেশি মানসিক চাপ না থাকে আর কাজ করে যেন তারা সন্তুষ্ট থাকে। এভাবে কর্মীরা আপনার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চাইবে না। অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে আরো যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে:
.
১. কাজে দক্ষতা আসবে
মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাজের জন্য অনেক ধরনের তথ্যের লেনদেনের দরকার হয়। ধারণা করা হয় যে, প্রয়োজনীয় এসব তথ্য খুঁজতেই প্রতি সপ্তাহে তারা চার ঘণ্টা পর্যন্ত সময় ব্যয় করে। অর্থাৎ, তাদের কর্মঘণ্টার অনেক বড় একটা অংশ চলে যায় তথ্য খুঁজতে গিয়েই। আর এই খোঁজাখুঁজির কাজটা তাদের খুব একটা ভালো লাগার কথাও না।
তাই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য যদি সহজে আর কম সময়ে খুঁজে পায়, তাহলে সবার কাজেই দক্ষতা আসবে। আর কাজ করতে অনুপ্রেরণাও পাবে সবাই।
.
২. টিমওয়ার্ক বা দলের সবার সাথে মিলে কাজ করতে উৎসাহিত করবে
মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় নিজেদেরকে নিঃসঙ্গ মনে করতে পারেন। কারণ সারাদিনই তাদেরকে একের পর এক গ্রাহকদের সাথে বা মেশিন নিয়ে কাজ করতে হয়। অন্যদিকে তাদের ম্যানেজার বা অন্যান্য কর্মকর্তারাও তখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
অথচ স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইন কোলাবরেশন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হলে পাল্টে যেতে পারে এই চিত্র। এমন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কর্মীরা যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন, অন্যদের সাথে যেকোনো পরামর্শ শেয়ার করতে পারেন এবং দ্রুতই যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে উপলব্ধি আসে যে, তারাও কর্মীদল বা টিমের অংশ।
.
৩. কর্মীরা নিজেদের কাজে নিয়ন্ত্রণ পাবেন
কাজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সবার মধ্যে একই ধরনের আগ্রহ থাকে না। তবে সবাই নিজেদের কাজের স্বীকৃতি চান। একইসঙ্গে কর্মজীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চান সবাই। আর অনলাইন কোলাবরেশনের মাধ্যমে সবার কাজই দৃশ্যমান হয়। ফলে কর্মীরা কর্মজীবনে নিজেদেরকে সফল ভাবতে শুরু করেন।
মোটকথা, অনলাইন কোলাবরেশন প্ল্যাটফর্ম থাকলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবে না। কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সবার কাছেই থাকবে।
সৌঃ সি বি

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি