Loading..

ম্যাগাজিন

০১ আগস্ট, ২০২২ ০৫:২৬ অপরাহ্ণ

সিলেটে কদর বেড়েছে হাতপাখার


 সারা দেশে এখন লোডশেডিং চলছে। অসহনীয় গরম তো আছেই। এ সময় শীতল হাওয়ার জন্য সিলেটে হাতপাখার কদর বেড়েছে। সিলেটে হাতপাখা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে সিলেট নগরের কদমতলী এলাকায় বিক্রির জন্য হাতপাখা নিয়ে এসেছিলেন মধু মিয়া (৫২)। বাসে করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে সিলেটে হাতপাখা নিয়ে আসেন তিনি। একসঙ্গে ৫০০টি হাতপাখা নিয়ে সিলেট নগরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে পাইকারি দামে সরবরাহ করবেন বলে তিনি জানান।

মধু মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরমের সময় এমনিতে হাতপাখার কদর বাড়ে। তবে এবার গত বছরগুলোর তুলনায় বেশিই বিক্রি হচ্ছে হাতপাখা। বাঁশ, বেত ও কাপড়ের তৈরি হাতপাখাগুলো মূলত তৈরি হয় মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া, বড়লেখা এবং সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। গ্রাম থেকে পাইকারদের মাধ্যমে পাখাগুলো সংগ্রহ করেন তাঁরা।

গ্রামের গৃহস্থালির কাজ শেষে নারীরা এসব হাতপাখা তৈরি করে থাকেন। তবে হাতপাখা তৈরির কাজে পুরুষেরাও যুক্ত থাকেন। আগে ২০ থেকে ৩০ টাকায় হাতপাখা পাওয়া যেত। এখন বাঁশ ও বেতের দাম বেড়েছে। ফলে হাতপাখার দামও বেড়েছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁশ, বেত কাপড় দিয়ে তৈরি করা হাতপাখাগুলো বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। হাতপাখাগুলোর মধ্যে কাপড়ের তৈরিগুলোর দাম কিছুটা কম। বাঁশ বেতের ব্যবহারের কারণে অন্যগুলোর দাম বেশি।

বাঁশ কাপড়ের তৈরি হাতপাখাগুলো রং সুতা দিয়ে নানা কারুকাজ করে আকর্ষণীয় করা হয়। আবার কেউ নিজে কিনে নিয়ে যাওয়ার পর কাপড়ের তৈরি হাতপাখায় নকশি করেন। সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকায় হাতপাখা বিক্রি করা সোলেমান মিয়া (৪৭) বলেন, লোডশেডিং বাড়ায় হাতপাখার কদর বেড়েছে।

সোলেমান মিয়ার কাছ থেকে হাতপাখা কিনছিলেন রিকশাচালক মকবুল হোসেন। দিনাজপুরের বাসিন্দা মকবুল (৫২) বলেন, রিকশা চালানোর পর ক্লান্ত হলে কোথাও ছায়ায় বসে জিরিয়ে নেন। তখন হাতপাখা হয়ে ওঠে ভরসা। কাপড়ের তৈরি একটি হাতপাখা তিনি ৫০ টাকায় কিনেছেন বলে জানান।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি