Loading..

খবর-দার

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

@@@@@@@বিজয় দিবসের দিনে এবং আমার শিক্ষকতা জীবনের এটি একটি অংশ হয়ে থাকবে@@@@@@@
প্লিজ পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইলো। আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম স্যার ম্যাডামদের দূর থেকে দেখলে মানে এক রাস্তা থেকে দেখলে আরেক রাস্তায় পালিয়ে চলে যেতাম। সামনা সামনি বা চোখে চোখ পড়লে সালাম দিয়ে তড়িঘড়ি করে বিদায় নিতাম। ছাত্রী খুব ভালো না হলেও স্যারদের মার খেতাম না তবে বছরে এক দুবার খেতাম। স্যারদের চোখের ভয়েই আর ক্লাসমেট দের সাথে লজ্জা শরমের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য প্রতিদিন পড়তাম। যখন বড় হয়ে স্কুল ছাড়লাম তখন স্যার ম্যাডামদের সাথে দেখা হলে সালাম দেবার পরেই বলে উঠেন কেমন আছো? বাবা মা কেমন আছে? ছোট বোনের কী অবস্থা? ইত্যাদি। কখনোই আগে বলতে পারতাম না স্যার ম্যাডামদের কেমন আছেন স্যার/ ম্যাডাম। যুগের পরিবর্তন হয়েছে। এখন একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর বন্ধু তারপর শিক্ষক। যেখানে সম্মান,শ্রদ্ধা ভালোবাসা সবই আছে। এই মেয়েটি কিন্তু আমার স্কুলে নয়। মেয়েটি যখন জে,এস,সি পরীক্ষা দেয় তখন একদিন কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে ছিলাম এবং গেলবার উন্নয়ন মেলায় এই মেয়েটির বান্ধবীসহ সবাই কিশোর বাতায়নের সদস্য হয়। সব কিছু সানন্দে গ্রহণ করে। কিন্তু আমাকে যখন যেখানে যেমন অবস্থায় রাস্তা ঘাট পরবর্তী মেলা গুলোতে, চলার পথে আমাকে দেখবে ছুটে চলে আসবে এসেই জড়িয়ে ধরবে কেমন আছেন ম্যাডাম?? আমিও বুকে জড়িয়ে ধরি। কী যে মায়া মেয়েটির চোখে মুখে,,,, আজ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ শেষে বের হয়ে আসতেই দূর থেকে ডাকতে ডাকতে কাছে এলো, জড়িয়ে ধরলো, হ্যান্ডশেক করলো চোখে যে আমার পানি চলে এলো। অবাক বিষয় যে সব সময় মেয়েটিই আগে দেখে আমাকে আমার আগে দেখার সৌভাগ্য কখনো হয় নি। মেয়েটি এখন ক্লাস নাইনে পড়ে এবং শহরের স্বনামধন্য সবুজ কানন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। আমি অন্তরের ভিতর থেকে দোয়া করি মা তুমি অনেক বড় হও, স্কুলের সুনাম অর্জন করো, পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করো। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুনাগরিক হয়ে উঠো। অন্যের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করো। আজ মনে হয় আমি সত্যি ধন্য এই শিক্ষকতা পেশায় এসে।