Loading..

প্রকাশনা

২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০৯:২৫ অপরাহ্ণ

স্বরচিত কবিতা (কাব্যগ্রন্থ, ছদ্মবেশী)

কালের ধারা

তন্ময় কুমার মণ্ডল

গ্রীষ্মের শেষে বর্ষা আসে, জুড়ায় সকল প্রাণ,

প্রখর রৌদ্র খরতাপ হতে, পায় যে পরিত্রাণ।

মেঘ-বালিকার নয়নের ধারা চাষার মুখের হাসি,

দূর বন হতে সকরুণ সুরে শুনি রাখালের বাশি।

চঞ্চল ক'টি বালক বালিকা জল ভরা সারা মাঠে,

শাপলা শালুক কুড়ায়- বিক্রি করবে গ্রামের হাটে।

দিবসের শেষে রজনী আসে আঁধার ঘনায়মান,

কোলাহল নেই শুধু শোনা যায় ঝিঁঝিঁ ও ভেকের গান।

নেই গানের শিক্ষা, বাদ্য-যন্ত্র তবু কত সুর তাল।

বুঝি কণ্ঠে ওদের দিয়েছে বিধাতা সুর-ধ্বনি চিরকাল।

সুদূর বনে বায়ু বয়ে যায় রাতের আঁধারে সুদূরে,

অকাতর ঘুমে পুরুষেরা সব জড়ায়ে প্রেয়সী বধুরে।

সারারাত ভর কলের লাঙল জমি চাষ করে চলে,

রাতদিন তার একভাবে কাটে এক হাঁটু ঘোলা জলে।

বাদলার দিনে কৃষাণ বধূ কাঁথায় স্বপ্ন বোনে,

রঙিন সুতায় সোনালী ধানের ছবি আঁকে সযতনে।

বহুদিন পর মনে পড়ে যায় অতীত দিনের কথা,

কত খেলা-ধুলা কত হাসি সুখ কত যে বিরহ ব্যাথা।

সেই দিন আজ মিলানো যে ভার হায়রে কালের ধারা,

কালের অতল গর্ভে লুকায় কালের স্বাক্ষী যারা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি