Loading..

প্রকাশনা

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০২:১৯ অপরাহ্ণ

জেএসসি ২০১৯ এর গণিত বিষয়ের সর্বশেষ প্রস্তুতি ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ।

১. প্রিয় শিক্ষার্থীরা  আগামী ২রা নভেম্বর তোমাদের জীবনে ২য় পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবা এই শেষ মুহূর্তে তোমার গণিত বিষয়ের পেলে খারাপ হবে নাতো।  তোমরা নিশ্চয়ই অবগত আছ গণিতের সৃজনশীল অংশে ১১ টি প্রশ্ন থাকবে তার মধ্যে ৭ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, ১১ টি প্রশ্নের মধ্যে ক - বিভাগ  পাটিগণিতের  ১ম, ২য় ও ৩য় অধ্যায় অর্থাৎ প্যাটার্ন থেকে ১ টি, মুনাফা থেকে ১টি ও পরিমাপ থেকে ১টি সহ মোট তিনটি  প্রশ্ন থাকবে, এখান থেকে ২ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। খ - বিভাগ বীজগণিতের অংশ  ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ  অধ্যায় অর্থাৎ বীজগণিতীয় সূত্রাবলী ও প্রয়োগ, বীজগণিতীয় ভগ্নাংশ ও সরল সহসমীকরণ থেকে ১ টি করে মোট তিনটি প্রশ্ন থাকবে ২ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। গ- বিভাগ জ্যামিতিক অংশ ৮ম, ৯ম ও ১০ম অর্থাৎ চতুর্ভুজ, বৃত্ত  ও পিথাগোরাসে উপপাদ্য  থেকে মোট তিন প্রশ্ন থাকবে, এখান থেকে দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ঘ - বিভাগ তথ্য ও উপাত্ত অর্থাৎ ১১ অধ্যায়  থেকে দুইটি প্রশ্ন থাকবে একটির উত্তর দিতে হবে। আর ৭ম অধ্যায় অর্থাৎ সেট থেকে কোন সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে না, এই অধ্যায় থেকে দুইটা বা তিনটা বহুনির্বাচনি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। 

২. যারা ভাল করতে চাও  বা ৮০ প্লাস নাম্বার পেতে চাও তোমরা বোর্ড বইয়ের উদাহরণ, কাজ, জ্যামিতির ক্ষেত্রে এক্সট্রা সহ সকল সমস্যা ভাল করে সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে জ্যামিতিক অংশে ভাল করতে পারলেই সহজেই ৮০ প্লাস মার্ক পাওয়া যাবে, এই জন্য তোমাদেরকে একটু টেকনিক প্রয়োগ করতেই হবে যেমন সম্পাদ্য থেকে একটি প্রশ্ন সব সময় থাকে যা তুলনামূলক সহজ ভাবে তোমরা আয়ত্ত করতে পার সে ক্ষেত্রে ৮.২ এর সম্পাদ্য গুলো ভাল করে অনুশীলন করতে হবে, তোমরা এখানে কমন কিছু ভুল করে থাক তাহল রশ্মি ও রেখাংশ নিয়ে এই ছোট খাট ভুল গুলো করা যাবেনা তাহলে নাম্বার কমে যাবে, আর উপপাদ্যের ক্ষেত্রে তোমাদের বড় সমস্যা হয় উদ্দীপক বুঝে উত্তর প্রদান করা, যেমন বৃত্তের উপপাদ্য ২ এবং ৩ প্রায় একই রকম মনে হয়, এই ক্ষেত্রে উদ্দীপকটি ভাল করে বুঝতে হবে আবার সেম সমস্যা হয় চতুর্ভুজের সামান্তরিক, আয়ত ও রম্বসের উপপাদ্যের ক্ষেত্রে, এখানে উল্লেখ্য যে তোমাকে সামান্তরিক, আয়ত ও রম্বসের বৈশিষ্ট্য ভাল করে জানতে হবে। আর জ্যামিতি যদি তোমার কাছে মহাভারতের মত লাগে বা মাথায় ঢোকাতে কষ্ট হয় তাহলে তুমি আর একটু টেকনিক করে তিনটি অধ্যায়ের মধ্যে দুইটি, সে ক্ষেত্রে শুধু ৮ম ও ১০ম অথবা ৮ম ও ৯ম অধ্যায় ভাল করে  অনুশীলন কর মনে রাখা ভাল বোর্ড বইয়ের সমাধান করা উপপাদ্যের সাথে এক্সট্রা অনুশীলনীর উপপাদ্য গুলো সমাধান করতে হবে কারণ এক্সট্রা এবং কাজের অংশ থেকেই গ নাম্বার প্রশ্নটি হয়ে থাকে। 

একইভাবে বীজগণিত অংশে বিশেষ করে গ্রাফ অংকন করতে গেলে অনেক স্টুডেন্টের জ্বর আসার উপক্রম হয়,  এখানে যদি ৪র্থ ও ৫ম অধ্যায় ভাল করে অনুশীলন কর যেন তুমি এই দুই অধ্যায় থেকে দুইটির প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পার। 

৩. চিরন্তন সত্য যে কথাটা তাহল তোমাদের মেধা সবার সমান নয়,যারা অপেক্ষাকৃত দূর্বল বা গ্রামের কিছু ছাত্র-ছাত্রী আছ যারা গণিত বিষয়ে পাস করাটা ভাগ্যের কাছে ইতিমধ্যে ছেড়ে দিয়েছ তাদের জন্য আমার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হল তোমরা সব গুলো অধ্যায় নিয়ে মাথা ঘামানো প্রয়োজন নেই। তোমরা প্রথমত পাটিগণিতের ১ম ও ৩য় অথবা ১ম ও ২য় এই দুইটি, তারপর আস তথ্য ও উপাত্ত(১১অধ্যায়) থেকে একটি, এবং  তুলনামূলক সহজ সম্পাদ্য ৮.২ থেকে ১ টি সহ মোট  ৪টি পেয়ে গেলা এখান থেকে তুমি ৪০ নম্বরের চালান পেয়ে গেলা, এই ৪০  নম্বর আয়ত্ত হলে তুমি টাচ করতে পার বীজগণিতের ৪র্থ অধ্যায়। এইভাবে অনুশীলন করতে থাক ইনশাআল্লাহ ভাল করবেই, সময় খুবই কম তোমার কাছে সর্বশেষ যে পরামর্শ তাহল তোমার পারা সমস্যাটি আবার পূনরায় বার বার  অনুশীলন কর। যে অংশটুকু তুমি বুঝতে পার না তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তোমার পারা সমস্যাটি আবার অনুশীলন কর তাহলেই তুমি গণিত কে জয় করতে পারবে। 

৪. এবার আসি এম সি কিউ অংশ নিয়ে,  এম সি কিউ তে ভাল করার পূর্ব শর্ত হল তোমার বোর্ড বইয়ের অধ্যায় শেষে এম সি কিউ গুলো দেওয়া আছে সেগুলো খুব ভাল করে অনুশীলন করা, সাথে উদাহরণ, কাজ জাতীয় সকল সমস্যার সমাধান করা ও অনুশীলন করা, এখানে গণিতের বেসিক জিনিস গুলো ভাল জানা থাকা প্রয়োজন, সাথে বিগত কয়েক বছরের বোর্ড প্রশ্নগুলো অনুশীলন কর। গণিতে ৮০ বা তার উর্ধ্বে মার্ক পাওয়ার অন্যতম শর্ত এম সি কিউ তে ভাল করা এখানে তোমাকে ২৫ পেতেই হবে। 

৫. পরীক্ষার ৩ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই সি কিউ ও এম সি কিউ প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে তাই সময় নিয়ে টেনশন না করে ঘড়ির দিকে খেয়াল উত্তর লিখবে, অনেক সময় প্রশ্ন সহজ হলে বেশি খুশি হয়ে ভুল করার সম্ভাবনা থাকে, অন্তত গণিত পরীক্ষায় তোমার মাথা যত ঠান্ডা রাখবা পরীক্ষা তত ভাল দিতে পারবা। আর পরীক্ষার হলে তুমি যেহেতু ফুল তিন ঘন্টাই পাচ্ছ এম সি কিউ উত্তর করার জন্য সুতরাং তুমি এখানে তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই ফাঁকে ফাঁকে এম সি কিউ উত্তর শেষ করে নিবে।

সর্বশেষ বলবো পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত রাত জাগার প্রয়োজন নেই, নুন্যতম ৫ ঘন্টা সময় ঘুমানোর চেষ্টা করবা কারণ ভাল পরীক্ষার জন্য অবশ্যই শারিরীক সুস্থতা প্রয়োজন। সকল জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীর প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রেখে আজ এখানেই শেষ করলাম ভাল থেক। 

মোঃ রকিবুল হাসান রাসেল 

সহকারী শিক্ষকঃ কে,ভি,এন উচ্চ বিদ্যালয় , 

বি এসসি ও  এম এসসি (গণিত) 

হাইমচর, চাঁদপুর। 

০১৮১৫৪১৮৯১২

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি