Loading..

খবর-দার

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৫:৩০ অপরাহ্ণ

অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষ তার অভিষ্ঠলক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

অভাব আটকে রাখতে পারেনি শারমিন আক্তার কে।


কোচিং ছাড়াই ঢাবিতে সুযোগ পেল পিতৃ হারা শারমিন আক্তার।


কোচিং এর যুগে কোচিং ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হলোখানা ইউনিয়নের শারমিন খাতুন। তার মেধা স্কোর -১৩৪২ খ- ইউনিট মানবিক শাখা।

শারমিন খাতুন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সুভারকুটি গ্রামের রুহুল আমিন ( নানা) এর বাড়িতে থাকে এবং তার মা সুফিয়া বেগম দর্জি কাজ করে লেখা পড়া করান তাকে । শারমিনের বাবা আশরাফ আলী ২০০৭ সালে মারা যান । তখন শারমিন ১ম শ্রেণীতে পড়ে । শারমিনের বাবা কুড়িগ্রাম ডিসি অফিসের পিয়ন ছিলেন । শারমিন আক্তার হলোখানা দ্বি- মূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৭ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায়  জিপিএ ৪.৭৭ এবং কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে মানবিক শাখায় এইচএসসি পরীক্ষায়  জিপিএ ৪.৮৩ পেয়েছিল।

শারমিন আক্তারের মা সুফিয়া বেগম জানান, আর্থিক যোগান দিতে না পারায় মেয়েকে কোচিং করানো সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শারমিনকে কোচিং করতে না দেওয়ায় অনেকে অনেক কথা বলেছে । তার পরও বুকভরা আশা  ছিলো, তাই আল্লাহর রহমতে বিনা কোচিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বীত।


শারমিন খাতুন তার গর্বিত মাতা, নানা-নানী ও মামা সহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। সে আরও অনেক বড় হতে চায়, তাই সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।