Loading..

খবর-দার

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

না চলে নাউ, না চলে পাউ; হাওর পাড়ের শিক্ষক সম্মেলন-২০১৯, সিলেট।।

না চলে নাউ, না চলে পাউ,

                                    গুণগত শিখন, টেকসই উন্নয়ন।

শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রচারের লক্ষ্যে দু’দিন ব্যাপী হাওর পারের শিক্ষক সম্মেলন -২০১৯, শনিবার সিলেটের কাজী নজরুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট বিভাগের হাওর পাড়ের শিক্ষক গ্রুপ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন [a2i], ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অংশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সারাদেশের ৬৩টি জেলা থেকে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষক বাতায়নের সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা, ICT4E জেলা এম্বাসেডরবৃন্দ, সেরা উদ্ভাবক, সেরা নেতৃত্ব এবং শিক্ষক নেতারা এই প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন।

দুই দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সেমিনার, উপস্থাপনা, পোস্টার, প্যানেল এবং শিক্ষা সম্পর্কিত সমসাময়িক বিষয়ে ধারণার লাভ।

শুক্রবার বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ গোলাম ফারুক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার স্টাইলড মিড-ডে ভোক্তা, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, জাহাঙ্গীর কবির আহমদের সভাপতিত্বে শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। আইসিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ, Educational Technology Expert রফিকুল ইসলাম সুজন স্যার অধিবেশনটি সঞ্চালন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে কারণ এটি সকল ধরণের সমস্যা সমাধান করতে পারে। শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকাশের জন্য দক্ষতা, সৃজনশীলতা, সমালোচনা, নৈতিকতা, কর্মসংস্থান, অভিযোজনযোগ্যতা, সামাজিক প্রতিশ্রুতি এবং স্বাস্থ্য দেওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের বিকাশের জন্য গ্লোবাল ভাষা শেখা এবং আইসিটি জ্ঞানের উপর ভাল কমান্ড থাকাও অপরিহার্য। তাছাড়াও Seven Soft Skill এর কথা বলা হয়েছে - Criticality, Creativity, Morality, Social Commitment, Employ-ability, Adaptability and Element .

তিনি বলেছিলেন যে স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য শিক্ষক সর্বাধিক ভূমিকা নিতে পারেন। শিক্ষকদের অবশ্যই তাদের শিক্ষার্থীর ক্রিয়াকলাপ অব্যাহত মূল্যায়নে বজায় রাখতে হবে কারণ এটি শিক্ষার্থীদের সর্বস্তর বিকাশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এটি পরীক্ষা পদ্ধতিতে নির্ভরযোগ্যতা হ্রাস করে।

বক্তারা প্রযুক্তি এবং বিশ্বায়নের পরিবর্তনের চাহিদার সাথে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করার জন্যও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

২য় অধিবেশনে চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চ্যানেল আই ক্ষুদে গান রাজ বিথী চৌধুরী ও ঝুমা স্টেজ মাতাতে মরিয়া ছিলেন। অডিটরিয়ামের ২য় তলায় মানুষের ঢল দেখে সবাই অনুষ্ঠানের সফলতার কথাই বলেন।।

সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে হাওর পাড়ের শিক্ষক সম্মেলনের ২য় দিনে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি” সেমিনারে মডারেটর হিসাবে ছিলেন জনাব ড. মোহাম্মদ শামীম খান ( সহকারী অধ্যাপক, সরকারি টিচার্স কলেজ, সিলেট ) আলোচক – ১. জনাব অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী, বীর প্রতীক (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, দোয়ারাবাজার উপজেলা), ২. জনাব মাসুক উদ্দিন আহমদ ( মুক্তিযোদ্ধা ও সভাপতি , মহানগর আওয়ামীলীগ, সিলেট ), ৩. জনাব মাোঃ গোলাম কবির (উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,ছাতক, সুনামগঞ্জ), ৪. জনাব বিশ্বজিৎ কুমার পাল (উপজেলা নির্বাহী অফিসার , নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ), ৫. জনাব মাহফুজুল আলম মাসুম (উপজেলা নির্বাহী অফিসার , জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ),৬. জনাব শামীম আহমদ ( মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও সভাপতি, শরৎসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়, ওসমানীনগর, সিলেট)।

২য় অধিবেশনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার দেওয়া হয়। সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা, সেরা উদ্ভাবক এবং শিক্ষক নেতাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দেশ সেরা শিক্ষকবৃন্দ । সবাই আনন্দে অভিভূত হয়ে আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান।।

পরিশেষে বলা যায়, ছোট-খাট কিছু ভূল ছাড়া পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল উপভোগ্য।।

এই মিলন মেলার মহাযজ্ঞে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।।

মোঃ আল আমীন

ICT4E জেলা এম্বাসেডর, সুনামগঞ্জ।