Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২০ মার্চ, ২০২০ ০৪:৫৫ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা

মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে বাংলা, বিহার, ঔড়িষ্যার স্বাধীনতাকে হরণ করে সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল। আমাদের পূর্বপুরুষকে পরাধীন করে রেখেছিল। মীর জাফর, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ প্রমূখ এর গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি আমাদেরকে ১৯০ বছর গোলাম করে রেখেছিল। ইংল্যান্ডের শিল্পকারখানার চাকা সচল রাখার জন্য বাংলার জনগণকে নীল চাষ করতে বাধ্য করেছিল। নীল চাষ করতে যারা অস্বীকৃতি জানাত তাদের উপর নেমে আসত অমানুষিক নির্যাতন। ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচার,শাসন জুলুমের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছিল। সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে রদা সূর্যসেন, বাঘা যতীন, ইলামিত্র, কৃষক নুরুলদীনের মতবীর সন্তানরা সেদিন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম বসুর মত অসংখ্য বীর বাঙালি নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার মাটিকে রক্ষা করেছিল। ব্রিটিশ সরকার ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ব্রিটিশ শাসিত ফরিদপুর জেলার (বর্তমান গোপালগঞ্জ) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা বেগমের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিল বাঙালির বহু বছরের আকাঙ্খিত পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট পরাজয় বরণ করার পূর্ব মুহুর্তে রচনা করে গিয়েছিল আরেক কলংকিত অধ্যায়ের। সারা বিশ্বের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করে ন্যাক্কারজনক ভাবে শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে দুই বাংলাকে বিভক্ত করা হয়েছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের বিলুপ্তি ঘটলেও সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্র। বাঙালির সংস্কৃতি, বাঙালির আচার অনুষ্ঠান কোন কিছুতেই পাকিস্তানের সঙ্গে মিল ছিলনা। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের দুরত্ব প্রায় ২০০০ কি.মি। শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাকে একীভূত করা হয়েছিল। যেটা মানব জাতির ইতিহাসে আর কোন দেশকে এভাবে ভাগ করা হয়েছিল কিনা জানা নেই।

১৯৪৭ সালে পূর্ববাংলার মূখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল খাজা নাজিম উদ্দিনকে। পাকিস্তানের উপনিবেশিক শাসন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য  পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সর্বপ্রথম আঘাত হেনেছিল বাঙালির মাতৃভাষার উপর।

আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জিয়াউল হক প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। ৫৬.৪০ শতাংশ মানুষ সেই সময় বাংলা ভাষায় কথা বলত। পাকিস্তানের গণপরিষদে ড.ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ড.জিয়াউল হকের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছিল পূর্বপাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আবেগ অনুভূতিকে তুচ্ছকরে ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মুসলিম লীগের সমাবেশে কায়েদ এ আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দম্ভ করে ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।

বাংলার ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ করেছিল। ভাষার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। সারা বাংলায় প্রতিরাধ গড়ে উঠেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ছাত্র লীগ। অধ্যাপক আবুল কাশেমের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন  ‘তমুদ্দিন মজলিশ’ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সোচ্চার হয়েছিল। পূর্ব বাংলা ভাষা সংগ্রাম কমিটির প্রধান ছিল আকরাম খাঁ। তার নেতৃত্বে ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়েছিল ভাষা সংগ্রাম কমিটি। ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন মওলানা আবদুল হামিদ খাঁন ভাষানীর নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।

ভাষা সংগ্রাম পরিষদের মিছিল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান সহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাতৃভাষার দাবীতে জেলে বসে তৎকালিন ছাত্র নেতা মহিউদ্দিন আহাম্মদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশন শুরু করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি (বাংলা ৮ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার) ছাত্র-ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে এসেছিল। মিছিল নিয়ে বের হলে পুঁলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর সহ নাম না জানা অনেককে। ভাষার দাবীতে রাজশাহী সরকারি কলেজের মুসলিম হোস্টেলের সামনে গড়ে তোলা হয়েছিল দেশের প্রথম শহীদ মিনার। ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল।

পূর্ব বাংলার স্বায়ত্বশাসনের দাবীতে ১৯৫৪ সালে মওলানা ভাসানী ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টি, খিলাফত-ই রব্বানি সহ  অন্যান্য দল নিয়ে গঠন করা হয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করে মুসলিম লীগের ভরাডুবির মধ্য দিয়ে ৩০৯ টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ও তার সহযোগী সংগঠন ২৯১ আসনে জয়লাভ করেছিল। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত হলেও পাকিস্তানি সামরিক জান্তা প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের প্রশ্নে গড়িমসি শুরু করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে ২১ দফা ঘোষণা করেছিল।

যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প, বাণিজ্য,  শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। দলকে শক্তিশালি এবং প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা বাংলা চষে বেড়িয়েছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা ও সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে বার বার গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আইয়ুব খানের শিক্ষক আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক ড.এসএম শরীফ কমিশনের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ গর্জে উঠেছিল। ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে বের হলে আইয়ুব খাঁনের পুঁলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুল সহ অনেককে। ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে শরীফ কমিশনের শিক্ষানীতি স্থগিত করা হয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি  লাহোরে বিরোধীদলের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সকল নেতৃবৃন্দ সারা বাংলায় গণসংযোগ শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্র দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার ভিত্তিতে সারা বাংলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র জনতা  আইয়ুব খাঁনের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু করেন। সিরাজুল আলম খাঁন, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ ও প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে ‘নিউক্লিয়াস’সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে রুখে দিয়েছিল। ২০ শে জানুয়ারি এক মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় আসাদুজ্জামান ( আসাদ নামে পরিচিত) ও ২৪ শে জানুয়ারি নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর নিহত হলে পরিস্থিতি আইয়ুব খানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক ও ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.শামসুজ্জোহা পুঁলিশের গুলিতে নিহত হলে সারা বাংলার মানুষ আইয়ুব খাঁনের মার্শাল ল’ আইন ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্র আন্দোলনের ৪ খলিফা আসম. আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী ও আবদুল কুদ্দুস মাখনের নেতৃত্বে সারা বাংলার ছাত্র সমাজ গর্জে উঠেছিল।

২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে ছাত্র নেতা তোফায়েল আহমদ জনতার পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধীতে  ভুষিত করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসন লাভ করে। জাতীয় পরিষদ সদস্যদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। ১ মার্চ ইয়াহিয়া খাঁন জাতীয় পরিষদের বৈঠক স্থগিত করলে সারা বাংলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ডাকসুর ভিপি আসম. আবদুর রব বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ৩ মার্চ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হরতাল আহবান করা হয়। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।

স্বাধীনতার দাবীতে সারা বাংলার জনগণ গর্জে উঠেছিল। ২৫ শে মার্চ কালোরাত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচি নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ রাত ১২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনাতা ঘোষণা করেন। অপারেশান সার্চ লাইটের নামে ঢাকার ঘুমন্ত মানুষদের উপর নির্বিচারে পুঁলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল হাজার হাজার নিরীহ বাঙালিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ ঢাকা শহরের ছাত্রাবাস ও বাসা বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সারা বাংলার মুক্তিকামী জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছিল।  ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয়েছিল অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার ব্যবস্থা।  নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। প্রিয়নেতা যে ময়দান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল সেই ময়দানেই নেতার অনুপস্থিতে মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান ফরমান অলী  আত্মসমর্পণ দলিলে স্বক্ষর করেছিল। জয় হয়েছিল বাঙালির, জয় হয়েছিল মুক্তিকামী জনতার। আমরা পেয়েছিলাম আমাদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৫০০ বা ১০০০ বছর আগে যদি এ বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করত তাহলে আমরা অনেক আগেই আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পেতাম। আমাদের উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকতে হত না। মার্চ মাস ঐতিহাসিক মাস। মার্চ মাসে প্রিয় নেতার জন্ম, মার্চ মাসে নেতার ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বীর বাঙালি, মার্চ মাসে ঘোষিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি