Loading..

খবর-দার

০১ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:০৪ অপরাহ্ণ

মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের ( কোভিড-১৯) সচেতনা ও প্রতিকার

মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের ( কোভিড-১৯) সচেতনা ও প্রতিকার

 

করোনাভাইরাস

করোনা ভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯এই রোগটিকে এখন বিশ্ব মহামারি মরণ ব্যাধি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এই ভাইরাস- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- এর মধ্যেই চীনে অনেক মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এরই মধ্যে ছড়িয়েছে।

 

ভাইরাসটা কী?

করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়াইনি। সারাবিশ্বে এরই মধ্যে ২০২ টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ইয়েছে ১1 হাজারের বেশি মানুষের।

ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ - এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। ২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮ জন সংক্রমিত  হয়েছিলসেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাসনতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: চায়না ভাইরাস', 'করোনাভাইরাস', '২০১৯ এনকভ', 'নতুন ভাইরাস', 'রহস্য ভাইরাস' ইত্যাদিএ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীসপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ

করোনাভাইরাস-এর কারণে সৃষ্ট রোগটির নাম দেওয়া হলো 'কোভিড-১৯'

 

কোথা থেকে এলো করোনাভাইরাস?

অনেক সম কোন একটি প্রাণী থেকে এসে নতুন নতুন ভাইরাস মানব শরীরে বাসা বাধতে শুরু করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা সাম্প্রতিক ভাইরাসটির উৎস কোনো প্রাণীযতটুকু জানা যা মানুষের আক্রান্ত হবার ঘটনাটি ঘটেছে চীনের উহান শহরে সামুদ্রিক মাছ পাইকারি বিক্রি হয় এমন একটি বাজারেকরোনাভাইরাস ভাইরাস পরিবারে আছে তবে এ ধরণের ছয়টি ভাইরাস আগে পরিচিত থাকলেও এখন যেটিতে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ সেটি নতুনবেশিরভাগ করোনাভাইরাসই বিপজ্জনক ন, কিন্তু আগে থেকে অপরিচিত এই নতুন ভাইরাসটি ভাইরাল নিউমোনিয়াকে মহামারির দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে এবংঅবশেষে এই রোগটির সংক্রমণ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ায় এটিকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস?

একবার যদি ভাইরাসের উৎস প্রাণীটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তাহলে রোগটি মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়। করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে চীনের উহানের দক্ষিণ সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারের সঙ্গে। যদিও বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী করোনাভাইরাস বহন করতে পারে (যেমন বেলুগা তিমি), ওই বাজারটিতে অনেক জীবন্ত প্রাণীও পাওয়া যেত, যেমন মুরগি, বাদুর, খরগোশ, সাপ- এসব প্রাণী করোনাভাইরাসের উৎস হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, চীনের হর্সশু নামের একপ্রকার বাদুরের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।

 

 

করোনাভাইরাস: কারা বেশি ঝুকিপূর্ণ?

1.      যারা পূর্বে থেকে অসুস্থতায় ভুগছেন।

2.   বয়স্ক ব্যক্তিরা

3.  যারা হৃদরোগে ভুগছেন।

4.   যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল।

5.   যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত।

 

করোনা কি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ?   

১.       করোনা ভাইরাস একটি জীবাণু যা মানুষের শরীরে জ্বর, কাশি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট (নিউমোনিয়া)

          তৈরী করে

২.       বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়শুধুমাত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়

৩.       বিশেষ করে যারা বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দূর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব মারাত্বক হতে দেখা

যায়

৪.       এই রোগটি অতিরিক্ত সংক্রামক, সুতরাং খুব দ্রুত এটি বিস্তার লাভ করেতবে যথাযথ প্রতিরোধমলক ব্যবস্থা নিলে, এর বিস্তার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব

 

করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়ায়ঃ

১.       করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।  

২.       এই ভাইরাসটি মূলত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় 

৩.       বিবিসির তথ্য মতে, মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটিয়ে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

৪.       আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, কফ-থুথুর মাধ্যমে ও

৫.       আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসলে   

৬.       সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনা ছড়ায়। 

রোগের লক্ষণসমূহঃ

1.      ভাইরাস শরীরে ঢোকার পরে সংক্রমনের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন সময় লাগে

2.     বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর

3.    এছাড়া শুকনো কাশি হতে পারে

4.      শ্বাসকষ্ট/ নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে

5.     অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/ শ্বাসকষ্ট/ হৃদরোগ/ কিডনী রোগ/ ক্যান্সার ) থাকলে তা বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়

সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ

প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুই প্রকার) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও ২) কাশির শিষ্টাচার

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাঃ

  1. সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারব্যবহার করে হাত পরিস্কার করা
  2. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা

নিচের ধাপ অনুসরণ করে হাত ধুতে হবেঃ

1.      প্রথমে দুইহাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন

2.     এরপরে দুই হাতেই সাবান লাগিয়ে নিন

3.    একহাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালু ঘষুন

4.      এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের উল্টো পীঠ এবং আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন

5.     দুই তালু আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন

6.     এক হাত দিয়ে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন  

7.     ডান হাতের সব আঙ্গুল একসাথে অপর হাতের তালুতে ঘষুন

8.     এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে হাত মুছে ফেলুন

কখন কখন হাত ধুতে হবে?

1.      নাক পরিষ্কার করা, হাঁচি বা কাশি দেয়ার পরে

2.     অসুস্থ কাউকে সবো দেয়ার আগে ও পরে

3.    খাবার তৈরির আগে ও পরে

4.      খাবার খাওয়ার পূর্বে

5.     প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করার পরে

6.     হাতে দৃশ্যমান কোনো ময়লা থাকলে

7.     ময়লা-আবর্জনা ধরার পরে

8.     কোন প্রাণী হাত দিয়ে ধরলে বা প্রাণীর ময়লা পরিষ্কার করার পরে

কি দিয়ে হাত ধুতে হবে?

1.      সাবান-পানি হলো হাত ধোয়ার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়

2.     হাতের কাছে সাবান না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যাবে

 কাশির শিষ্টাচার

1.      হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে অথবা কনুই ভাঁজ করে নাক মুখ ঢেকে রাখুন

2.     ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিন এ ফেলুন

3.    যেখানে সেখানে থুথু/কফ ফেলার অভ্যাস পরিহার করুন

4.      সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন

5.     ব্যবহৃত মাস্ক প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর বা হাঁচি-কাশি দেবার পর মাস্ক ভিজে গেলে পরিবর্তন করুন

আপনার নিজের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?

 জ্বর, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যাথা হলে-

1.      রোগতত্ত্ব, রোগ নযি়ন্ত্রণ ও গবষেণা ইনস্টটিউিট এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার অফিসে জানিয়ে দিন

2.     পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তার সার্থে আপনি একা আলাদা একটি রুমে আলাদাভাবে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন

3.    জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুনজরুরী কাজে বাইরে গলেে মাস্ক পরিধান করুন

4.      সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন

5.     ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কি করবেন?

1.      সংস্পর্শে আসার দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত আলাদা একটি কক্ষে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন

2.     জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুনজরুরী কাজে বাইরে গলে মাস্ক পরিধান করুন

3.    সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন

4.      এই ১৪ দিনের মধ্যে লাক্ষন দেখা দিলে রোগতত্ত্ব, রোগ নযি়ন্ত্রণ ও গবষেণা ইনস্টটিউিট এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার অফিসে জানিয়ে দিন

5.     ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা না দিলে  স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফেরত যেতে পারবেন

6.     ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন

অন্যান্য মাঠ কর্মীদের করণীয়

1.   কর্মস্থলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন

2.     প্রত্যেক সেবাগ্রহনকারীর সাথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও কাশি শিষ্টাচার নিয়ে কথা বল।

3.    হাঁচি কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, ব্যবহার করা টিস্যু কোন ঢাকনা যুক্ত পাত্রে ফেলে দিন এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

4.      হাঁচি-কাশি বা জ্বর আছে এমন ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখ।

5.     হাঁচি-কাশি বা জ্বর আছে এমন ব্যক্তিদের সেবা প্রদান না করে নিন্মলিখিত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলুন

6.     অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করবেন ।

7.     টাকা/ পয়সা হাত দিয়ে ধরার পরে সাবান-পানি দিয়ে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন

8.     হাঁচি-কাশির সময় পোশাকে কিছু লাগলে বাসায় ফিরে তা অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে ফেলুন

অফিসের নিয়ম কানুন

1.      অফিসে ঢোকার মূল প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্যহ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ষ্টেশন স্থাপন করতে হবে

2.     জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতিদিন ডেস্ক, কম্পিউটার, টেলিফোন, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং এবং খাবারের জায়গা পরিস্কার করুন

3.    কারো সাথে হাত মিলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন

4.      মিটিং রুম ও কমন স্পেসে, সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজিং ষ্টেশন স্থাপন করুন

5.     সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন, অন্যান্য কর্মীদের থেকে কমপেক্ষে এক মিটার দুরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং ও রোগতত্ত্ব, রোগ নযি়ন্ত্রণ ও গবষেণা ইনস্টটিউিট এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন

6.     টাকা-পয়সা ধরার পর হাত সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন

গাড়িতে করণীয়

1.      গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করার পূর্বে ও প্রতি ট্রিপের পর ড্রাইভিং হুইল, গিয়ার, ড্যাশবোর্ড, গাড়ির হাতল, কাঁচ এবং যেসব জায়গায় যাত্রী বসা বা উঠা-নামার সময় হাত দিয়ে ¯পর্শ করা হয়, সেসকল স্থান অফিস থেকে সরবরাহকৃত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন

2.     গাড়ি চালনার সময়ে হাঁচি বা কাশি আসলে টিস্যু বা হাতের কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করুন

3.    এসি গাড়ির চালকগণ বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুনকারণ বদ্ধ জায়গায় হাঁচি বা কাশি থেকে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে

4.      গাড়িতে পর্যাপ্ত টিস্যু বক্স রাখুন এবং যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখুন

বাড়িতে করণীয়ঃ

1.      বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন

2.     খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে হাত ও কাঁচা খাবার ভাল করে ধুয়ে নিন

3.    মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে রান্না করুন

4.      অপ্রয়োজনে পশু-পাখি ধরবেন না, ধরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন

5.     অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন

যারা রান্নার কাজে জড়তি তাঁদের করণীয়

.   খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে এবং পরিবেশনের আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন

.   কাঁচা খাবার (শাক- সব্জি, ফল-মূল, মাছ-মাংশ) ভাল করে ধুয়ে নিন

.  মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে (সিদ্ধ) রান্না করুন আধা-সিদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না

.  কোন প্রাণীর শ্লেষ্মা বা মল হাতে লাগলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করুন

. খাবার প্রস্তুত করার সময় উচ্ছিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায় ফেলবেন নাঢাকনাবদ্ধ পাত্রে উচ্ছিষ্ট রাখুন ও পরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে ফেলুনখেয়াল রাখবেন বিড়াল, কুকুর বা কাক যেন ময়লা না ছিটায়রান্নাঘর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন

.  রান্না বা খাবার পরিবেশনের সময়ে হাঁচি বা কাশি না দেয়ার চেষ্টা করুন প্রয়োজনবোধে মাস্ক ব্যবহার করুন

 

হে আল্লাহ তুমি মরণ ব্যাধি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সবাইকে হেফাজত/মুক্তিদান করুন। আমিন!

 

মোঃ মিজানুর রহমান মিজান

ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর দিনাজপুর

                 

সিনিয়র শিক্ষক(কম্পিউটার)

মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়

বিরামপুর, দিনাজপুর।