Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০২ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ

কোথায় আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান! তাই বুঝি সমাজে এত অবক্ষয়! শিক্ষক হিসাবে, একজন অভিভাবক হিসাবে, একজন মুসলমান হিসাবে দায় এড়াতে পারি কি!!!???

অনেকদিন আগে ভিডিওটা দেখে মনে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। হায়রে কোথায় আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান! তাই বুঝি সমাজে এত অবক্ষয়! শিক্ষক হিসাবে, একজন অভিভাবক হিসাবে, একজন মুসলমান হিসাবে দায় এড়াতে পারি কি!!!???
শুধু আলেম সমাজ নয় দায়িত্ব আমাদেরও তাই ভেবেছিলাম পরেরদিন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে এইবিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তারা অন্তত এর মাধ্যমে বিষয়গুলোর গুরুত্ব জানবে, শিখবে। আমিও শিক্ষক হিসাবে, মুসলমান হিসাবে কিছুটা কর্তব্য পালন করতে পারবো। ধর্ম মানবতা, মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়‌, সেটা যে কোনো ধর্মই হোক না কেন। আমরা শিক্ষকরা নিজের পাঠ্যসূচির বাইরে যদি একটু করে মুসলমান হিসাবে দায়িত্ব পালন করি তাহলে অবশ্যই আমাদের সন্তানেরা ধর্মীয় অজ্ঞতা নিয়ে বড়  হবে না। ক্লাসে গিয়ে প্রথমেই ওদের বললাম, আজ জীববিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করবো না। তোমাদের কয়েকটা প্রশ্ন করবো, সর্বোচ্চ সঠিক উত্তরদাতা গিফট পাবে। কেউ হৈ চৈ করে উত্তর দেবে না। হাত তুলবে যাকে জিজ্ঞেস করবো সে বলবে। প্রথম প্রশ্ন ছিলো-কালেমা কয়টা? সবাই হাত তুললো, যেহেতু সবার হাত উঠেছে তাই বলতে বললাম, ওরা একযোগে বলে উঠলো চারটা, এবার যারা চারটার নাম বলতে পারবে তারা হাত উঠিয়ে রাখো। অর্ধেক হাত নেমে গেলো। এরপর বললাম কারা চারটাই বলতে পারবে? মাত্র দুইজনকে পেলাম। কালেমার গুরুত্ব এবং চর্চার কথা আলোচনা করলাম। ভিডিওটাতে করা অন্য প্রশ্নগুলোও করলাম। মোটামুটি সন্তোষজনক উত্তর পেলাম। চারজন সমান নম্বর পেলো। পুরো আলোচনার সার সংক্ষেপ করার ক্ষমতা, বক্তব্য রাখার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং একজনকে বেছে নিতে একে একে ওদের বক্তব্য শুনলাম। পুরো ক্লাস প্রাণবন্ত এবং উপভোগ্য হয়েছিলো বলে মনে হচ্ছে। পরিশেষে ওরাই নির্ধারণ করলো কে গিফটটা পাওয়ার উপযুক্ত।