Loading..

খবর-দার

৩০ জুন, ২০২০ ১০:২৩ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এদিকে প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খুলে জরুরি ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা শহরের বেশির ভাগ এলাকাই নিমজ্জিত হয়েছে। পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন বাসা, বাড়ি, সরকারি অফিস ও বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। শহরের প্রায় পাঁচশতাধিক বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে বন্যার্তদের স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যাবিধি মেনে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। তবে করোনা মহামারির মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।


অন্যদিকে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, সাহেববাড়ি, পশ্চিম বাজার, মধ্যবাজার, তেঘরিয়া, উকিলপাড়া, আরপিননগর, জামাইপাড়া, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, হাজীপাড়া, নতুনপাড়া, গড়াপাড়া, জামাইপাড়া, কালিবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট নিমজ্জিত হয়ে গেছে। 


রবিবার পৌরশহরের সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য উপজেলায়ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার ১৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১১৪৩ বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত রয়েছে।


পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর, জামালগঞ্জ-মদনপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ সাচনা সড়ক, দোয়ারা সুনামগঞ্জ , ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ  সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। তা ছাড়া নিম্নাঞ্চলেও বন্যার পানির চাপ তৈরি হওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।


সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, দুপুরে সুরমার পানি কিছুটা কমলেও নিম্নাঞ্চলে চাপ তৈরি করছে। তা ছাড়া মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেই পানি ভাটির জনপদ হিসেবে এই অঞ্চলে এসে চাপ তৈরি করবে। এতে অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে।


সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা জরুরি সভা করে ৪১০ মেট্রিকটন চাল ও ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।