Loading..

প্রকাশনা

০১ জুলাই, ২০২০ ১১:২৮ অপরাহ্ণ

বিভিন্ন প্রাণঘাতী ভাইরাস ও অসহায় মানবসভ্যতা...

পৃথিবীর ইতিহাসে ব্ল্যাক ডেথের কথা অনেকের মনে আছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণহানী সেটাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ১৪ শ শতকে কৃষ্ণ সাগরের উপকুলবর্তী অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়েছিলো বলে একে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়। সে সময় ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য হতো এই কৃষ্ণসাগর দিয়েই। এটি ছিলো এক প্রকার গ্রন্থি প্রদাহজনিত প্লেগ। এই মহামারী ঘটেছিলো ইবোলা ভাইরাসের কারণে। ইঁদুর ছিলো এই রোগের  প্রধান জীবাণুবাহী। তার পরে আসে প্রাণঘাতী  জিকা ভাইরাস। ১৯৪৭ সালে  এটি প্রথম দেখা দেয় উগাণ্ডায় রেসাস ম্যাকাক বানরের দেহে, পরে ১৯৫০ সালের দিকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পরে যার কারণে পৃথিবীতে অনেক প্রাণহানি হয়। স্মল পক্স ভ্যারিওলা বা গুটিবসন্ত দ্বারা  ১৯৭০ সালে ভারতে  সংক্রমিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ। এতে মারা যায় হাজার হাজার মানুষ। তারপরে সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি বা সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় চীনে। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে।তবে এটি বাদুরের দেহেও পাওয়া গেছে। এছাড়াও মার্স, এইচ আই ভি এইডস, ডেঙ্গুর মতো ভাইরাসের কারনেও পৃথিবীতে বহূবার প্রাণহানি ঘটেছে। সম্প্রতি চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে মানব সভ্যতা আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীগণ ছুটা ছুটি করছেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু কোথাও কোন সফলতার খবর এখন পর্যন্ত মিলছেনা। প্রাণঘাতী করোনায় আজ মৃত্যুর মিছিল শুধু দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটির উপরে মানুষ। সুস্থ্য হয়েছে্ন ৫৩ লাখেরও বেশি এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখেরও বেশি। আমরা যদি আজ পর্যন্ত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির চিত্র দেখি তাহলে দেখা যাচ্ছে  আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দের লাখ, সুস্থ্য হয়েছে্ন ৬২ হাজারের বেশি এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৮৮ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলা। সরকারের পক্ষ থেকেও দেখা যাচ্ছে জনগণকে সচেতন করার ও নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন মেয়াদে লকডাউন রাখা হয়েছে সমস্ত দেশ। তাই আসুন আমরা সামাজিক দুরত্ব মেনে চলি, নিজে সুস্থ্য থাকি, আপনজনদেরকে সুস্থ্য রাখি, প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে ভালো রাখি।   

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি