Loading..

খবর-দার

০৬ জুলাই, ২০২০ ০৮:১১ অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মোবাইল অপারেটরদের কাছে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেবার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।

বৈশ্বিক মহামারী করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাতে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিনামূল্যে বা একেবারে নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট চেয়েছেন তিনি।

সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তাঁর প্রত্যাশা মোবাইল অপারেটররা বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন।

সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংকট নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের হয়তো কিছুদিনের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে হতো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা আমাদের এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ অফিস-আদালতে বিভিন্ন মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সীমাবদ্ধ থাকবে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে নতুন এই বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠব বলে জানান মন্ত্রী।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার বিস্তার এবং মেধাবি জাতি তৈরিতে ইন্টারনেটকে ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। ভবিষ্যত শিক্ষার ক্ষেত্র কেবলমাত্র ক্লাসরুম কেন্দ্রিক হবে না। ক্লাসরুম ব্যবস্থা ডিজিটাল করতে হবে। অন্যথায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য মানব সম্পদ তৈরি করতে পারব না।

প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দেশ ইন্টারনেট ব্যবহারে মাইলফলক তৈরি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে ফাইভজি যুগে প্রবেশ করবে। ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়া হয়েছে।  ৭৭৭টি ইউনিয়নে ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দেশের হাওর, দুর্গম দ্বীপ ও চরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।

এছাড়াও ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল খালেক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মাকসুদ কামাল এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত সহ অনেকেই।