Loading..

খবর-দার

০৬ আগস্ট, ২০২০ ০৫:১২ অপরাহ্ণ

মৃত শিক্ষকদের নামে এমপিওর টাকা, অবশেষে শিক্ষা অধিদপ্তরের কড়া নির্দেশ

মৃত্যুবরণ  ও চাকরি থেকে পদত্যাগ করার পরও হাজার হাজার শিক্ষকের নাম বছরের-পর- বছর এমপিও শিটে থেকে যায়। নিয়মিত এমপিওর টাকাও পাঠানো হয় তাদের নামে। এছাড়া জন্মতারিখ ভুল থাকায় অবসর গ্রহণের পরেও অনেক শিক্ষকের এমপিও টাকা যায় মাসের পর মাস। প্রতিষ্ঠান প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের যৌথ প্রযোজনায় এসব শিক্ষক-কর্মচারীর  নাম বছরের পর বছর এমপিও শিটে থেকে যায়। নিয়মিত টাকাও পাঠানো হয় শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। এই টাকার সুফল ভোগ করেন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। এতে প্রতিবছর সরকারের অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষা ডটকমের লাইভে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেন দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক ও এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খান। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এরপরই এমপিও শিট থেকে পদত্যাগ বা মৃত্যুবরণ করা শিক্ষকের নাম কাটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব শিক্ষকের নাম এমপিও শিট কর্তনের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের। এ কাজে অবেহেলা বা অহেতুক দেরি করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

বুধবার (৫ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়,  গত ১৮ জুন এমপিও অনুমোদন কমিটির সভায় পদত্যাগ বা মৃত্যুবরণ করার শিক্ষকদের নাম এমপিও শিট থেকে দ্রুততম সময়ে কর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ-অবসর-মৃত্যুবরণের পরও এমপিও শিটে নাম রয়ে গেছে, তাদের নাম কর্তনে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক ও পরিচালকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা।

অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ কার্যক্রমের বিষয়ে অবহেলা বা অকারণ বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর নাম কর্তন নিয়ে পরবর্তী কোনো জটিলতা দেখা দিলে এর দায় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।