Loading..

খবর-দার

০৮ আগস্ট, ২০২০ ০৫:২৬ অপরাহ্ণ

ঢাবিতে বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (৮ আগস্ট) এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীনসহ হলের আবাসিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উপাচার্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য বলেন, ১৯৭৫ থেকে আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য শোকাবহ মাস বটে কিন্তু ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্টে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন রেনু নামের একটি মেয়ে, যিনি হলেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। একজন সাবলীল, স্নেহময়ী ও পরিশ্রমী বাঙালি নারীর যেসব গুণাবলি থাকে, তার সবই ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মধ্যে ছিল। অধিকন্তু এক সুপ্ত প্রতিভা ও জীবন দর্শন তাঁর মধ্যে লুকায়িত ছিল, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র ও যুব রাজনৈতিক জীবনে এবং তা অধিকতর দৃশ্যমান রূপ পায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশেষ করে ষাটের দশক ও সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্বে যে ক’জন মহীয়সী নারী জীবনে অসীম ত্যাগ, দৃঢ় মনোবল এবং অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠা এবং বাংলাদেশ নামের জাতি রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একান্ত ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে তিনি অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর এই অসীম অবদান সমাজ, সভ্যতা ও নারী অগ্রগতির স্বার্থে গভীরভাবে মূল্যায়ন করা এখন সময়ের দাবি। এ নিরিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

এসময়, মুজিব জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ পূর্তিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে উপজীব্য করে অধ্যয়ন ক্ষেত্র তৈরি জাতীয় জীবনে একটি মাইল ফলক হিসেবে গণ্য হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপাচার্য।