Loading..

মুজিব শতবর্ষ

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৭:৩২ অপরাহ্ণ

###কেন শেখ হাসিনা সরকারের জয়গান করি ?
কেন শেখ হাসিনা সরকারের জয়গান করি ?
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫ টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে বিশ্বে অবস্থান ৪১ তম। ২০৩৩ সালে আমাদের পিছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড,সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন ( জি ডি পি)প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ থাকবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস আ্যন্ড বিজনেস রিসার্চ ( সিইবিআর)প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ওয়াল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০১৯ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে ১৯৩ টি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, চ্যালেন্জ ও সম্ভাবনা উল্লেখ আছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ১২ টি দেশকে টপকে গেছে। আগামী ১৫ বছরে টপকে যাবে আর ও ১৭ টি দেশ। এই যাত্রার ১ম ৫ বছরে ৫ টি দেশকে টপকে যাবে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ হবে ৩৬ তম অর্থনীতির দেশ। পরের ৫ বছর আর ও ৯ টি দেশ কে পেরিয়ে ২০২৮ সালে হবে ২৭ তম বড় অর্থনীতির দেশ। পরের ৫ বছরে টপকে যাবে আর ও ৩ টি দেশ। সংস্থা টি আর ও বলেছে, এক দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এখন ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে বা পি পি পি ডলারে মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটিকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরনে সহায়তা করেছে। সংস্হাটি বলছে, বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বড় প্রবৃদ্ধির পেছনে কারন হলো আভ্যন্তরিন ভোগ চাহিদা, সরকারি ব্যয়,প্রবাসী আয় ও রপ্তানী। নানা ধরনের চ্যালেন্জ সত্বেও বাংলাদেশ এসব কারনেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিসংখ্যান ছিলো গত বছরের প্রথমার্ধে। সাধারণত জি ডি পি আকার বিবেচনায় এনে অর্থনীতির আকার নির্ধারন করা হয় কিন্তু অতি সম্প্রতি অন্য এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জি ডি পি তে সিঙ্গাপুর - হংকং কে ছাড়িয়েছে। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়,বাংলাদেশ এখন এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্চলে ১৩ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।মোট দেশজ উৎপাদনের ( জিডিপি) আকারে গত ২ যুগে সিঙ্গাপুর ও হংকংকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ এই অবস্থানে উঠলো। এই অন্চলের দেশগুলোর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) বিবেচনা এনে প্রতিটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন
( জি ডি পি) কত হয়েছে, সেই হিসাব করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এ ডি বি) । আর এভাবে দেশগুলোর অর্থনীতির আকার নির্ধারন করা হয়। সেই হিসাবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মোট ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পন্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়েছে। এ ডি বির কি ইনডিকেটরস ফর এশিয়া আ্যন্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই চিত্র উঠে এসেছে। ক্রয়ক্ষমতা সমতা ( পি পি পি) অনুসারে হিসাব করলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক সক্ষমতার তুলনামূলক প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়।এ ডি বি র প্রতিবেদনে পি পিপি অনুযায়ী এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। দেশটির মোট জিডিপি আকার ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার। ২য় স্হানে আছে ভারত যেখানে জি ডি পি আকার ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলার। এডিবি এই প্রতিবেদনে এশিয়ার ৪৯ টি দেশের মধ্যে কার কত জি ডি পি আকার তা দেখানো হয়েছে।
এ ডি বি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল সিঙ্গাপুর। ঐ বছর বাংলাদেশ মাত্র ১৫ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের পন্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরে সৃষ্টি হয়েছিল ১৬ হাজার ৭১৮ কোটি ডলারের পন্য উৎপাদন ও সেবা। এর পর বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। পরের ১০ বছরেই সিঙ্গাপুর কে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জি ডি পি আকার দাড়ায় ৩৬ হাজার ৪০৫ কোটি ডলার। ঐ বছরই ১ম বারের মত বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে সিঙ্গাপুর। তখন সিঙ্গাপুরে পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টির পরিমান দাড়ায ৩৬ হাজার ৩৩২ কোটি ডলার। এর পর বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার গল্প। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরের চেয়ে বাংলাদেশ এর অর্থনীতির আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশ বেশি। একইভাবে হংকং কে ও পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই দেশটি ও ২০০০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে ১ম বারের মতো হংকং কে পিছনে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। গত বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বেড়ে হংকং এর চেয়ে প্রায়ই ৫০ শতাংশ বেশি হয়েছে।
আজ ২০২০ সালে কোভিড -১৯ মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর পরিমান এখন ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী।
এই সংবাদ অত্যন্ত আনন্দের। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সম্পর্কে সুনাম বয়ে আনবে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে দ্রুত উন্নয়ন করছে এবং বিনিয়োগের সুযোগ ও বাড়ছে, তার একটা ভালো দৃষ্টান্ত চোখের সামনে উজ্জল হলো।
এই তথ্যমূলক লেখাটি এই কারনে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেন তাদের জন্য। আমরা অর্থনীতিতে ২০০১সাল বা ২০০৮ সালে কোথায় ছিলাম আর এখন কোন অবস্থানে ?
বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে উপরের তথ্য প্রতিবেদনে স্পষ্ট বুঝা যায়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়গান করি।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি