Loading..

খবর-দার

১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১১:২৫ অপরাহ্ণ

এক পৃষ্ঠার রিটার্ন ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:

এক পৃষ্ঠার রিটার্ন ফরম যাদের জন্য প্রযোজ্য:
=============================
অর্থ আইন ২০২০ অনুযায়ী কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সকল টিনধারীর জন্যই কর বর্ষ ২০২০-২১ এ রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অর্থাৎ করযোগ্য আয় না থাকলেও আপনার যদি টিন থাকে তাহলে এ বছর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ এ বছরই এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য মাত্র এক পৃষ্ঠার একটি রিটার্ন ফরম চালু করেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই হল সাধারণ তথ্য।

আয়কর নিয়ে ঝটিলতার কারণে এমনিতেই করদাতাদের মধ্যে ভীতি রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজ এবং ভীতি কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চাকরিজীবী করদাতাদের জন্য কয়েক বছর আগে মাত্র তিন পৃষ্ঠার একটি নতুন রিটার্ন ফরম চালু করে। এতে করে চাকরিজীবী করদাতারা খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে নিজেই নিজের রিটার্ন তৈরি করতে পারছেন।

এ বছর আবার সবার জন্য যখন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হল তখন মাত্র এক পৃষ্ঠার একটি রিটার্ন চালু করেছে। যা মাত্র কয়েক মিনিটেই পূরণ হয়ে যাবে।

কিন্তু কিছু শর্তাবলী পূরণ হলেই এই রিটার্নটি একজন ব্যক্তি করদাতা ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন এই রিটার্ন ফরম ‘IT-GHA2020’টি দাখিল করতে পারবেন যাদের আয় ৪ লাখ টাকার বেশি না এবং মোট পরিসম্পদ ৪০ লাখ টাকার বেশি না।

তবে উক্ত শর্তাবলী পূরণ হলেও যদি তার আয় বছরের শেষ তারিখে মোটর গাড়ি (জীপ বা মাইক্রোবাসসহ) এর মালিকানা থাকে অথবা আয় বছরে কোনো সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা থাকে অথবা গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ থাকলে করদাতা এই রিটার্ন ফরমটি ব্যবহার করতে পারবেন না।
ফরমটিতে করযোগ্য আয়, মোট পরিসম্পদ, করের পরিমাণ এবং আয়ের উৎস- এই চারটি তথ্য দেওয়ার ঘর রাখা হয়েছে।

যাদের করযোগ্য আয় করমুক্ত সীমা তিন লাখ টাকা অতিক্রম করেনি তাদের জন্য এই চারটি ঘর প্রযোজ্য না। অর্থাৎ খালি রাখবেন।

কিন্তু যাদের করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেছে তারা আলাদা কাগজে করযোগ্য আয় এবং কর গণনা করে শুধু অংকটা লিখে দিলেই হবে।

মূল রিটার্ন ফরমের সঙ্গে আপনি যে করযোগ্য আয় এবং কর গণনা করেছেন তা সংযুক্তি হিসেবে দিতে পারেন। তাহলে কর কর্মকর্তার বুঝতে সুবিধা হবে।

আর বাকি থাকে মোট পরিসম্পদের ঘর।

এই রিটার্নটি পূরণকালে করদাতা চাইলে মোট পরিসম্পদ এর ঘরটি পূরণ করতে পারেন।

অপর পৃষ্ঠায় সংক্ষিপ্ত আকারে সম্পদ ও দায়ের বিবরণ দিতে পারেন।

এই রিটার্নে সম্পদ ও দায়ের বিবরণ প্রদান করদাতার জন্য বাধ্যতামূলক না। তাই আপনি খালি রাখতে পারেন।
১ জুলাই থেকেই ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিল শুরু হয়েছে। জরিমানা ছাড়া ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

ইতিমধ্যেই হয়তো জেনেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর নভেম্বর মাসে আয়কর মেলা হচ্ছে না।

গত কয়েক বছর ধরেই ব্যক্তি করদাতাদের মধ্যে আয়কর মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ দেখা দেয়। কারণ এক জায়গা থেকেই করদাতারা সব কাজ করে হয়রানি-বিহীন রিটার্ন দাখিল করতে পারতেন।

এ বছর যেহেতু আয়কর মেলা হচ্ছে না তাই আপনি আপনার টিন-এ উল্লেখিত ট্যাক্স সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আগে আগেই রিটার্ন তৈরি করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।