Loading..

প্রেজেন্টেশন

২৬ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:২০ পূর্বাহ্ণ

মাছ ও মাছ খাওয়ার উপযোগীতা এবং মাছের পরিচিতি

মাছ খাওয়া উপকারীতা:

সমগ্র বিশ্বে মাছ খাওয়ার প্রচলন আছে। তবে বাঙালি একটু মাছ খাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে। খুবই পুরাতন একটা কথা যেটা আমরা সবাই জানি, মাছে-ভাতে বাঙালি। ভাত আর মাছ বাঙালির প্রতিদিনের সঙ্গী। বাঙালির খাওয়ার পাতে এক টুকরো মাছ প্রতিদিন চাই-ই-চাই। বড় মাছের পাশাপাশি ছোট মাছেও রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। মলা, ঢেলা, চাঁদা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এইজন্য ছোট মাছ স্বল্প পরিমাণ হলেও খাওয়া ভালো।

সবথেকে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মাছ। এটি প্রোটিন এবং ভিটামিন “ডি” এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের দ্বারা পরিপূর্ণ।

মাছ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ। যেটা আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

আমেরিকান হার্ট এ্যাসোসিয়েশনের মতে সপ্তাহে অন্তত ২ সারভিং (পিচ) মাছ খাওয়া উচিত। 

হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়:

মাছ হার্টের জন্য সব থেকে-স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে একটি। 

অনেক বড় পর্যবেক্ষণ গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হার্টের রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪০,০০০ এরও বেশি পুরুষের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এক সপ্তাহ ধরে মাছ খেয়েছিলেন তাদের হার্টের রোগের ঝুঁকি ১৫% কম ছিল। 

ভিটামিন “ডি” এর উৎস:

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের তথ্য অনুসারে, মাছে ভিটামিন “ডি” বেশি যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য উপকারী।

মস্তিষ্কের জন্য ভালো:

অনেক পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব লোকেরা বেশি মাছ খান তাদের মানসিক অবনতির হার কম হয়।  

গবেষণাগুলি আরও প্রকাশ করে যে, যারা প্রতি সপ্তাহে মাছ খান তাদের মস্তিষ্কের প্রধান কার্যকরী টিস্যু অনেক সক্রিয় থাকে।

হতাশা দূর করতে পারে:

গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যক্তিরা নিয়মিত মাছ খান তাদের হতাশার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

মাছ খাওয়ার ফলে রিউমাটয়েড (rheumatoid) আর্থ্রাইটিস এবং একাধিক স্ক্লেরোসিস (sclerosis) হওয়ার ঝুঁকিও কমে যেতে পারে।

বাচ্চাদের হাঁপানি কমায়:

মাছ বাচ্চাদের হাঁপানি রোধে সহায়তা করতে পারে। অধ্যয়নগুলি দেখায় যে, নিয়মিত মাছ খাওয়ার ফলে শিশুদের মধ্যে হাঁপানির ২৪% ঝুঁকি কমে।  

ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে:

বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মায়েদের হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত জরুরী। ছোট মাছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে। 

কাঁটাসহ ছোট মাছ কালসিয়ামের অন্যতম উৎস। মলা, ঢেলা, চাঁদা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।

চোখের জন্য ভালো:

বয়স-সম্পর্কিত চোখের ছানি (AMD) দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ যা, বেশিরভাগ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের হয়ে থাকে।মাছ এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এই রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। 

ভালো ঘুমের জন্য:

আপনার যদি ঘুমোতে সমস্যা হয় তবে বেশি করে মাছ খেতে পারেন। গবেষকদের মতে, মাছে থাকা ভিটামিন “ডি” ঘুমের জন্য সহায়তা করে।

সূত্র: হেলথলাইন