Loading..

প্রেজেন্টেশন

০২ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -গণহত্যার প্রস্তুতি ,মোঃ মোকলেছ উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক , নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা , শ্রীপুর, গাজীপুর

সংগঠিত গোষ্ঠী বা দল যখন সুকৌশলে প্রতিপক্ষ কোন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী অথবা জাতিকে গোপনে বা প্রকাশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ও সমূলে বিনাশ করার ইচ্ছা পোষণ করে এবং তা সংগঠিত করে তাই গণহত্যা। একে জাতিগত নিধনও বলা যেতে পারে। ১৯৪৪ সালে "রাপহেল লেমকিন"  এর লেখা "এক্সিস রুল"  বইয়ে গণহত্যার বিভিন্ন শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত 'জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন' গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করে বলে,"গণহত্যা হলো হত্যাকারী সদস্যদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জঘন্য কাজ, যার মূল লক্ষ হলো,সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠী ধ্বংস করা। আরো উল্লেখ করে বলা হয় যে,ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি করা,যা আংশিকভাবে জনগণের শারীরিক ধ্বংসও ঘটায়। ইতিহাসে গণহত্যার পাতায় নাম লিখিয়েছেন এমন অমানবিক গণহত্যাগুলো হলোঃ 'দ্য হলোকাস্ট','গ্রিক গণহত্যা', 'সারবিয়ান গণহত্যা', 'হোলোডোমার গণহত্যা', 'ইন্দোনেশিয়ার গণহত্যা', '১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যা '।

“ পলিটিক্যাল ইন্সাটাবিলিটি টাস্ক ফোর্স” এর দেয়া তথ্যমতে ১৯৫৬ থেকে ২৯১৬ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৪৩ টি গণহত্যা সংঘটিত হয়, যেখানে শিশু–নারী–পুরুষ–বৃদ্ধ মিলিয়ে প্রাণ হারানো মানুষের পরিমাণ প্রায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫০ লক্ষ। বিশ্লেষকদের মতে, যা বিশ্বের জন্য অতীব ভয়াবহ চিত্র উপস্থাপন করে। গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান," এমন দৃশ্য চোখে দেখার আগে মৃত্যুও উত্তম ছিল"। এমন ঘটনা যেন পরবর্তীতে আর না ঘটে এমন প্রত্যাশাই এখন বিশ্ববাসীর।