সহকারী শিক্ষক
১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৩৩ অপরাহ্ণ
খাদ্য পুষ্টি ও পরিপাক || জীববিজ্ঞান
ধরন: মাদ্রাসা শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: জীব বিজ্ঞান
উদ্ভিদের দেহের কোষকলায় পানির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে নাইট্রোজেন।
- ক্লোরোফিল অণু তৈরিতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম।
- গাছের জন্য পটাসিয়ামের তিনটি কাজ—
পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ করা।
গাছের পানি শোষণে সাহায্য করা।
কোষ বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং
মূল, ফল, ফুল উত্পাদন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।
- গাছের বায়বীয় শ্বসন আয়রন তথা লৌহের ওপর নির্ভরশীল। এটি সাইটোক্রোম সংগঠনে সহায়তা করে।
- ক্লোরোপ্লাস্ট গঠন ও সংরক্ষণের জন্য ম্যাঙ্গানিজ দরকার।
- উদ্ভিদের দেহে সুগার তথা চিনির পরিবহনে পরোক্ষ ভূমিকা রাখে বোরন।
- উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট আছে ১০টি (বেশি পরিমাণে দরকার হয়)। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আছে ৬টি (অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়)।
- ফসফরাসের অভাবে পাতা বেগুনি হয়ে যায়।
নাইট্রোজেনের অভাবে ক্লোরোফিল উত্পাদন হয় না, আর এর অভাবে পাতা হলদে হয়ে যায়। আবার লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ ও দস্তা ক্লোরোফিল উত্পাদনের সঙ্গে জড়িত।
- পাতার শীর্ষ ও কিনারা হলুদ হয় পটাসিয়ামের অভাবে।
- ডাইব্যাক ঘটে সালফারের অভাবে। এতে গাছের মূল, কাণ্ড ও পাতার শীর্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে টিস্যু মারা যেতে থাকে।
- মানবদেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করে আমিষ।
- শুধু শর্করা, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় খাবার শক্তি উত্পাদন করতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন। দেহের ভেতরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনাও জোগায় এটি।
- আমিষে ১৬ শতাংশ নাইট্রোজেন থাকে।
- কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন দিয়ে আমিষ তৈরি হয়। এতে সামান্য সালফার, ফসফরাস ও আয়রনও থাকে।
- শুধু আমিষজাতীয় খাদ্যই শরীরে নাইট্রোজেন সরবরাহ করতে পারে।
- চর্বি জমা থাকে ত্বকের নিচে। দেহের সঞ্চিত চর্বি প্রয়োজনের সময় তাপ ও শক্তির জোগান দেয়।
- ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন তেলই উত্কৃষ্ট।
- খাদ্য আঁশ বা ফাইবারের আরেক নাম রাফেজ।
- হাঁড়, দাঁত, পেশি, এনজাইম ও হরমোন গঠনের জন্য খনিজ লবণ বেশ দরকারি।
- পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের ওজনের ৫০-৬৫ ভাগ পানি।
- রক্তে পরিবাহিত খাদ্য ও দেহকোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে পানি।
- প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে দুই লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।
- খাদ্য আঁশ বা ফাইবার হলো মূলত কোষপ্রাচীরের সেলুলোজ ও লিগনিন। এগুলোকে উদ্ভিদের হাড় হিসেবে তুলনা করা যায়।
- ফাইবার তথা রাফেজ খাদ্যনালি থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে মলের পরিমাণ বাড়ায়। এটি চর্বি জমার প্রবণতাও কমায়। এ কারণেই আঁশযুক্ত খাবার আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। খাদ্যনালির ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমায় এই রাফেজ।
- একজন পরিশ্রমী ব্যক্তির প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম দুধ পান করতে হয়।
- প্রতি এক শ গ্রাম চালে ৩৪৬ কিলোক্যালরি আছে, যেখানে সমপরিমাণ আলুতে রয়েছে ৯৭ কিলোক্যালরি। তুলনামূলক বিচারে বাঁধাকপি, পুঁইশাক, বরবটি ও বেগুনে কিলোক্যালরি যথেষ্ট কম আছে। তবে এগুলোতে ভিটামিন রয়েছে বেশি।
- গরুর দুধের ঘি ও রান্নার তেলে ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি। প্রতি এক শ গ্রামে আছে ৯০০ কিলোক্যালরি। এই তালিকায় দুধের কিলোক্যালরি সবচেয়ে কম (৬৭)।