Loading..

নেতৃত্বের গল্প

২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৭:৪৮ অপরাহ্ণ

সততা স্টোর

সততা স্টোর

আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর গঠন করা হয় । এখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য পরিশোধ করে নিজে নিজেই জিনিসপত্রাদী ক্রয় করে থাকে । সততা স্টোর পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে আসছে । আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন স্যার সততা স্টোরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিটির কাছে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার ) টাকা অনুদান দেন । পরবর্তীতে আস্তে আস্তে  সততা স্টোরের  মূলধনের পরিমান বৃদ্ধি পায় । সততা ষ্টোরে থেকে কেনা কাটার মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ ও নৈতিকিতার বিকাশ  হবে এবং পরবর্তীতে ভালকাজের অভ্যাস গঠন হবে । কোমলমতি শিশুদের মনে এখন থেকে এ অভ্যাস গড়ে উঠলে সে সারাটাজীবনের জন্য তা অভ্যস্ত হয়ে পড়বে । ভাল অভ্যাস মানুষকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব তার বাস্তব উদাহরণ আমেনা-বাকী স্কুল এন্ড কলেজের সততা স্টোর ।  সততা স্টোরের ফান্ডগঠন  হয় যেভাবে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পুরাতন বই , পরীক্ষার উত্তরপত্র ,অতিরিক্ত ক্লাসের (দশম শ্রেণির) ফি দিয়ে সততা স্টোর মালামাল ক্রয় করা হয়  । বিক্রয়কৃত জিনিসপত্রের লাভাংশ  সততা ষ্টোরের মূলধনের সাথে যুক্ত হয় । ধারকৃত  কোচিং এর টাকা ২ মাস পরেরই  শিক্ষকদের মধ্যে বণ্ঠন করে দেয়া হয় এবং অন্যান্য টাকা সততা স্টোরের ফান্ডে যুক্ত করে মূলধনের পরিমান বৃদ্ধি করা হয় । জানুয়ারী  ও ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে অধিকাংশ সততা স্টোরের দ্রবাদী বিক্রয় হয় । বর্তমানে সততা স্টোরের মূলধনের পরিমান কয়েক লক্ষ টাকা (যা শুরু কয়েছিল ৫০০০/) টাকা দিয়ে । আপনারা ইচ্ছা করলেই পুরাতন বই ,উত্তরপত্র বিক্রয়,অনুদানের টাকা , কোচিং ফি থেকে ১০% কর্তক করে সততা ষ্টোরের ফান্ডের পরিমান বৃদ্ধি করতে পারেন ।   মো: মিজানুর রহমান-অধ্যক্ষ-এবিআরএমএসসি