Loading..

ম্যাগাজিন

২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:২৮ অপরাহ্ণ

বেলি বা বেলী ফুল: (ইংরেজি(ইংরেজি: Arabian jasmine), (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum sambac) জেসমিন গণের এক প্রকারের সুগন্ধী সাদা ফুল।

বেলি বা বেলী ফুল:

 

(ইংরেজি(ইংরেজি: Arabian jasmine), (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum sambac) জেসমিন গণের এক প্রকারের সুগন্ধী সাদা ফুল। এই প্রজাতির গাছের উচ্চতা এক মিটার হতে পারে। এদের কচি ডাল রোমশ। পাতা একক, ডিম্বাকার, ৪-৮ সে:মি: লম্বা হয়। পাতা গাঢ়-সবুজ এবং মসৃণ। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় থোকায় কয়েকটি ফুল ফোটে।

 

"বেলি ফুল এনে দাও চাই না বকুল

চাই না হেনা, আনো আমের মুকুল।’’

 

দিনমান আকাশে মেঘের আনাগোনা। কখনও ঝমঝম ধারায় কখনও ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে আঁকা হতে থাকে প্রকৃতির জলছবি। চারদিকে গাঢ় সবুজের সমারোহ। ভেজা বাতাসে রকমারি বর্ষা ফুলের সৌরভ। এমন বর্ষা মুখর দিনের সাজসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ হতে পারে ঋতুপ্রধান এই ফুলগুলো। খোঁপায় একগুচ্ছ বেলী ফুল আপনার সাজে এনে দিতে পারে বর্ষার নান্দনিকতা।

 

বেলীর আবেদন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বর্ষায় এর মনমাতানো সুগন্ধে ভরে থাকে চারপাশ। সাদার শুভ্রতায় ফুরফুরে হয়ে ওঠে মন। এই ফুলটি বর্তমানে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত।

বেলী ফুলের গাছ বেশ ছোট; ঝোপের মতো। উজ্জল সবুজ পাতার মাঝে সাদা রঙের থোকায় থোকায় ফোটে থাকা বেলী ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। রাতে ফুটতে শুরু করে, সকালে পুরোপুরি পাঁপড়ি মেলে আর দুপুরের মধ্যেই ঝরে যায়। এ ফুলের রং সাধারণত সাদা ও হালকা ঘিয়ে মেশানো সাদা হয়ে থাকে।

ফুলের আকার ও গড়ন অনুসারে বেশ কয়েকটি জাত আছে। সাধারণত যে ৪ শ্রেণীর বেলীর সঙ্গে আমরা পরিচিতঃ 

১. রাই বেলীঃ এ জাতের বেলী দেড় থেকে দু'হাত লম্বা হয়। পাঁপড়ি সুসজ্জিত, ফুল খুব ছোট কিন্তু গন্ধ খুব উগ্র। 

২. খয়ে বেলীঃ ছোট গাছ। ফুল ফোটে অজস্র। তীব্র সুগন্ধিযুক্ত। মালা তৈরিতে এর ব্যবহার ব্যাপক। 

৩. মতিয়া বেলীঃ এ জাতের বেলী ফুলের আকার বড়ো হয়। অসংখ্য পাঁপড়ি এবং থোকায় থোকায় ফুল ধরে। ফুল মনোরম গন্ধযুক্ত। 

৪. ভরিয়া বেলীঃ এ জাতের বেলীকে বলা হয় রাজা বেলী। ফুলের ওজন ১ ভরি। গড়ন ও গন্ধ মনোমুগ্ধকর। সাদা রঙের তীব্র সুগন্ধযুক্ত মালা গাঁথার বিশেষ উপযোগী।

 

সাজসজ্জা বা সুগন্ধী হিসেবে বেলীর ব্যপক ব্যবহারের সাথে সাথে নানান রোগের চিকিৎসাতেও এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। বেলীর সুগন্ধ স্নায়ুচাপ কমিয়ে ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। বেলীর ফুল জন্ডিস রোগে এবং যৌন রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়। ফুলের কুঁড়ি আলসার, ফোড়া, চর্মরোগ এবং চোখের অসুখে কাজে লাগে। পাতার রস ব্রেস্ট টিউমারে ও পাতার কাত্থ জীবাণুনাশক হিসেবে ক্ষত ও ফোড়ায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেলী ফুলের চা পাচন সহায়ক হিসেবে, জ্বর সারাতে, ও মুত্রনালীর সংক্রমন নিরাময়ে কাজ করে। তবে বেলীর সমস্ত ভেষজগুণকে দূরে সরিয়ে রাখলেও শুধুমাত্র সাজার জন্যই হোক কিংবা মাতাল করা গন্ধের কারণেই, বেলি ফুল প্রিয় সবারই। হাজারো আধুনিক সৌন্দর্যের মধ্যে এটি আজও অনন্য।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি