Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০২:৩২ অপরাহ্ণ

ছফেদা পরিচিতি

সফেদা গাছ ৩০ মি (৯৮ ফু) কিংবা এর চেয়েও লম্বা হতে পারে। এর কাণ্ডের ব্যাস ১.৫ মি (৪.৯ ফু) পর্যন্ত হতে পারে। তবে সচরাচর এটি ৯-১৫ মিটার (৩০–৪৯ ফুট) লম্বা হয়; আর এর কাণ্ড ৫০ সেমি (২০ ইঞ্চি) এর বেশি মোটা হয় না।[৪] এই গাছ ঝড়-বাতাসে টিকে থাকতে পারে। এর ছালে প্রচুর সাদা আঠালো কষ থাকে, যা 'চিকল' নামে পরিচিত।[৫] দুধের ন্যায় কষগুলো বেশ আঠালো বিধায় তা একসময় চুইং গাম শিল্পখাতে অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত হতো। আজটেক সভ্যতায় প্রস্তুতকৃত চুইং গামের কাঁচামাল ছিল এর কষ। এর পাতা সুন্দর, মাঝারি আকারের, সবুজ ও চকচকে। এগুলো একান্তর, উপবৃত্তাকার বা ডিম্বাকার, ৭-১৫ সে.মি. লম্বা হয়। এর ফুল সাদা, ঘণ্টাকৃতির, ছয় খণ্ডবিশিষ্ট পাপড়ি-গুচ্ছে বিন্যস্ত।

সফেদা ফল বড় উপবৃত্তাকার 'বেরি' জাতীয়। এর ব্যাস ৫-১০ সেমি প্রসস্ত হয়। দেখতে অনেকটা মসৃণ আলুর মত। এর ভেতরে ২-৫ টি বীজ থাকে। ভেতরের শাস হালকা হলুদ থেকে মেটে বাদামি রঙের হয়। বীজ কালো। সফেদা ফলে খুব বেশি কষ থাকে। এটি গাছ থেকে না পাড়লে সহজে পাকে না। পেড়ে ঘরে রেখে দিলে পেকে নরম ও খাবার উপযোগী হয়।

সফেদা ও এর ভেতরের অংশ

সফেদা ফল বেশ মিষ্টি। কাচা ফল শক্ত এবং 'স্যাপোনিন' (saponin) সমৃদ্ধ। সফেদা গাছ উষ্ণ ও ক্রান্তীয় অঞ্চল ছাড়া বাঁচে না। শীতল আবহাওয়ায় সহজেই মরে যায়। সফেদা গাছে ফল আসতে ৫-৮ বছর লাগে। এতে বছরে দুইবার ফল আসতে পারে যদিও গাছে সারা বছর কিছু কিছু ফুল থাকে।

অন্যান্য নাম[সম্পাদনা]

ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে সফেদাকে বলা হয় 'মিস্পেল',[২] হন্ডুরাস, এল-সালভাদর ও কিউবাতে এর নাম 'zapote', ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কোস্টা-রিকা, কিউবা, পুয়ের্তো-রিকো, নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া ও ভেনিজুয়েলাতে একে বলে 'níspero', বাহামায় এর নাম 'dilly', জ্যামাইকা ও অন্যান্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে একে বলে 'naseberry', ব্রাজিল ও হাইতিতে বলা হয় 'sapoti', ফিলিপাইনে এর নাম 'chico' বা 'tsiko' এবং মেক্সিকো, হাওয়াই, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও দক্ষিণ ফ্লোরিডায় একে বলা হয় 'chicosapote' বা 'chicozapote'।[৬][৭]

ভারতে এর নাম 'চিকু' বা 'চিক্কু' ("चिक्कू" or chiku, "चीकू,")। পাকিস্তানে এর নাম 'চিকু' বা 'আলুচা' ("چیکو" chiku বা "آلوچَہ" âlucha)। ভারতের অন্য কিছু অঞ্চলে যেমন- তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ ইত্যাদিতে একে বলা হয় sapota। শ্রীলঙ্কায় এর নাম 'sapathilla' বা 'rata-mi'। বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতে এর নাম 'sobeda/sofeda' (সবেদা বা সফেদা)। মালদ্বীপে এর নাম sabudheli ("ސަބުދެލި")। ইন্দোনেশিয়ায় এর নাম 'sawo'। পশ্চিম সুমাত্রায় একে বলে 'saos'। ভিয়েতনামে এর নাম hồng xiêm (lit. Siamese persimmon), lồng mứt বা xa pô chê। এছাড়া থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়ায় একে বলা হয় lamoot (ละมุด)।

প্রমিত মালয় ভাষায় এর নাম ciku। আর কেলান্তানীয় মালয় ভাষায় এর নাম sawo nilo। চীনে অনেকেই একে ভুল করে 'জিনসেং ফল' (人參果) হিসেবে অনুবাদ করে থাকেন। যদিও এর প্রকৃত চীনা নাম "heart fruit" (人心果) ।

বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ইত্যাদি অঞ্চলে “আলুর গোট” নামেও এটি পরিচিত।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি