Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

এস এম ফয়েজ উল্লাহ একটি নাম একটি ইতিহাস।। -----------মহউদ্দিন ওসমানী---------------------------- শিক্ষায়, সমাজসেবায়, সাংবাদিকতায় ও রাজনীতিতে যার বিচরন ছিল ঈর্ষানীয়।
এস এম ফয়েজ উল্লাহ একটি নাম একটি ইতিহাস।।
-----------মহউদ্দিন ওসমানী----------------------------
শিক্ষায়, সমাজসেবায়, সাংবাদিকতায় ও রাজনীতিতে যার বিচরন ছিল ঈর্ষানীয়।
বারআউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জনপদ মীরসরাই। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য সমগ্র পৃথিবীতে ঈর্ষনীয় ও মনোরম। উত্তরে বয়ে যাওয়া ফেনী নদী, পশ্চিমে সুন্দর বন সাদৃশ্য উপকূলীয় বনভূমি ও তরঙ্গবিক্ষুদ্ধ সন্দ্বীপ চ্যানেল।দক্ষিণে শিল্পসমৃদ্ধ সীতাকুন্ড আর পূর্বে পাহাড় শ্রেণী বেষ্টিত স্বপ্নের জনপদ মীরসরাই প্রাকৃতিক সম্পদ ও মনোরম দৃশ্যের অপূৃর্ব সমাহার। রাজনৈতিক থেকেও মীরসরাই সমগ্র দেশে পরিচিত। পাঠান আমলে মিরসরাই ছিল সমগ্র চট্টগ্রামের রাজধানী।।
পরাগল খাঁ,ছুটি খাঁ,দিল্লীর সম্রাট শের শাহের আপন সহোদর নিজাম শাহ্ শুর, বায়েজিদ খান সহ ডজন খানেক স্বনামধন্য আবাস ভূমি ছিল মিরসরাই। চট্টগ্রাম বিজয়ী মোগল শাসকদের অনেকের আবাস ভূমি ছিল মিরসরাইয়ে।
আধ্যাত্বিক জগতেও মীরসরাই এর সন্তানগন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।মরহুম গাজী বালাকোট নুর মুহাম্মদ নিজামপুরী,সুফী আবদুল গনি,সুফী নুরুচ্ছালাম, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সহ অসংখ্য ধর্মীয় নেতার কর্মস্থল ও সমাধিস্থল মীরসরাইকে তীর্থ স্হানের মর্যাদা প্রদান করেছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রেও মিরসরাইয়ে অবদান ঈর্ষনীয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডঃ.রবিউল হোসেন, চমেক এর সাবেক অধ্যক্ষ ডঃ নুর উন নবী সহ অসংখ্য চিকিৎসক দেশ সেবায় অনন্য অবদান রেখেছেন। বর্তমান গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি সহ অসংখ্য জ্ঞানী গুনির পুণ্যভূমি মিরসরাই।
এই পুণ্যভূমির এক ক্ষনজর্ন্মা কৃতিসন্তান শিক্ষা অনুরাগী, দানবীর, বিশিষ্ঠ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, মেহেরুন নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এস এম ফয়েজ উল্লাহ।
১৯৪৮ সালের ১ জুন রাত ১২টায় চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামে এই কৃতিসন্তানের জন্ম হয়।।
জনাব এম এম ফয়েজ উল্লাহ ছিলেন শিক্ষা বিস্তারের এক জীবন্ত নায়ক, মীরসরাইতে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান নাই, যেখানে তাঁর অবদান নাই,তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মেহেরুন নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়, গোলকের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ভাবে অবদান রাখেন, গোলকের হাট পি এন বালিকা বিদ্যালয়, জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ, চিনকি আস্তানা উচ্চ বিদ্যালয়, মাষ্টার রুহুল আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তিনি এই সব প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহ দায়িত্ব পালন করতঃ প্রতিষ্টান গুলোর গুনগত মানবৃদ্ধির জন্য নিজের অর্জিত সব অর্থ ব্যয় করে আজীবন প্রচেষ্ঠারত ছিলেন। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি দায়িত্ব পালন করেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মেহেরুন নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়, সহ - সভাপতি জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ, দাতা চেয়ারম্যান পি এন বালিকা বিদ্যালয়। দাতা সহ - সভাপতি চিনকি আস্তনা উচ্চ বিদ্যালয়, দাতা সভাপতি গোলকের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাতা সভাপতি ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি গনমাধ্যম বা সাংবাদিকতা জগতেও উনার বিচরণ ছিল ঈর্ষনীয়।কাজ করেছেন
সম্পাদকঃ সাপ্তাহিক প্রস্তাব,ঢাকা।
সম্পাদকঃসাপ্তাহিক সানরাইজ ঢাকা।
সম্পাদকঃ সাপ্তাহিক গন আশা চট্টগ্রাম।
ব্যুরোচীপ চট্টগ্রামঃদৈনিক সোনালী বার্তা ঢাকা।
ব্যুরোচীপ চট্টগ্রামঃদৈনিক সকালের কথা ঢাকা।
ছিলেন সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্টঃবাংলাদেশ জার্নালিষ্ট ফোরাম ঢাকা।
জয়েন্ট এডিটরঃ দি মুসলিম টাইমস ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা।
জয়েন্ট এডিটরঃ দি ঢাকা পোষ্ট ঢাকা।
জয়েন্ট এডিটরঃ দি ইলোসট্রেটেড উইকরী অব বাংলাদেশ ঢাকা।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে যে সব দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্টঃ বাংলাদেশ ইয়থ হোষ্টেল ঢাকা।
উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্যঃ মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম,
উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্যঃ মীরসরাই সমিতি কক্সবার।
উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্যঃ মীরসরাই সমিতি ঢাকা।
আজীবন সদস্যঃ চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা।
সভাপতিঃ জাতীয় পাটি (এরশাদ)মিরসরাই উপজেলা।
@ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ততাঃ
ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ নাফ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কক্সবাজার।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ ফেয়ার হেলথ কেয়ার সংস্থা ঢাকা।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃগালফ্ বাংলা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃওভারসিজ ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃফারজানা ট্রাভেলস এন্ড টুরস্ লিমিটেড চট্টগ্রাম।
প্রোপ্রাইটরঃ মিরসরাই এন্টারপ্রাইজ মিরসরাই চট্টগ্রাম।
এর আগে তিনি কর্মরত ছিলেনঃ ফিনিসিং ইনচার্জ হিসাবে চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানায় প্রায় ১১ বছর এবং কাতার স্টীল মিল দোহা, কাতারে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন। এই ছাড়াও গ্রেট ইষ্টার্ণ কোম্পানীতে প্রায় ৬ বছর যাবৎ প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন সৎ, সাহসী, ন্যায়নিষ্ঠ ও জনদরদী। এই গুনি ব্যক্তি ২০০৫ সালে ১ ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর চার ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেমেয়ে সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার মহীয়সী নারী মেহেরুন নেছা ফয়েজ যার উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এবং ত্যাগের কারনেই বিভিন্ন মহৎ কর্মে যুক্ত হতে পারছিলেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি