Loading..

নেতৃত্বের গল্প

১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০৩:১২ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন কর্মযজ্ঞ

" আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পূর্ণ কর , এ জীবন পূর্ণ কর ,দহন দানে।"  রবীন্দ্রনাথের গানের দুটি চরণ দিয়েই  শুরু করলাম করোনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে  আমার সোচ্চার পদক্ষেপ গুলি। কভিড-১৯ এর কড়াল থাবায় থমকে গেল পৃথিবী , দিশেহারা হল দেশ , থেমে গেল ছোট্ট  সোনামণিদের কলতান ,স্তব্ধ হয়ে গেল চিরচেনা বিদ্যালয় গুলি । কিন্তু আমি  মোসাঃইয়াসমীন  আখতার বানু, প্রধান শিক্ষক ,  মধ্য আলিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ,গোমোস্তাপুর , চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেমে থাকিনি এই সংকটকালে। মাননীয় অতিরিক্ত সচিব মহোদয়ের  বিভিন্ন  সভার রেজুলেশনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চালাতে থাকি আমার করোনাকালীন কর্মযজ্ঞ । শুরু করি আমি ও আমার সহকর্মীরা মিলে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ালেখার খোঁজ খবর নেয়া ,কখনও মাসেঞ্জারে কখনওবা মুঠোফোনে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। শিশু মনে আনন্দের দোলা দিতে  আমি প্রথমে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে ভার্চুয়াল  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি ।এতে  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে ।এরপরে আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ অনলাইন প্রাইমারি স্কুলের পেজে জেলার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ,ও কর্মকর্তাদের নিয়ে জুমে এক বিশাল  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি এবং  সঞ্চালনার কাজে যুক্ত হই । এরপরেও থেমে থাকেনি আমার করোনাকালীন কার্যক্রম । আমি সক্রিয় সহযোগী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার,সারাবাংলা ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে  রাজশাহী বিভাগীয়  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হই এবং পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুমে অংশগ্রহণ করি এবং একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর বিভাগীয়  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিতে পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সফলকাম করি । এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে  বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এই করোনাকালীন সময়টাকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে উপভোগ্য করে তুলি ।ফলাফল হিসেবে  শিক্ষার্থীরা পাঠে সুন্দরভাবে মনোনিবেশ করতে পেরেছে এবং  আপন সৃজনশীলতাকে অনলাইন প্লাটফরমের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে  সমর্থ হয়েছে ।আমি এমনিভাবেই দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আনন্দের মাধ্যমে  শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনোনিবেশ করাতে প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আর প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে দিবা নিশি অতন্দ্র প্রহরি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি । আগামীতেও এমনিভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি আর আশার দিন গুনছি- আসবে আলো , আসবে সুদিন ।