Loading..

ম্যাগাজিন

১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

“সৌন্দর্য সুধা সন্ধানে” মোছাঃ মারুফা বেগম, প্রধান শিক্ষক, খগা বড়বাড়ী বালিকা দ্বিমুখী উচ বিদ্যালয়, ডিমলা, নীলফামারী।

শিক্ষাসফর প্রতিবেদন, নায়েম – ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ

“সৌন্দর্য সুধা সন্ধানে”

 

“ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি

সকল দেশের রাণী সেযে আমার জন্মভূমি----।“

 অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে বাংলা মায়ের আঁচল জুড়ে। বৈচিত্র্যময় ষড়ঋতুর বাংলাদেশের রুপে মুগ্ধ বিশ্বের কবি,শিল্পীগণ। সবুজ বাংলার পাগলা হাওয়া আর অবারিত সাগরের নীল-জল-ঢেউ নিমিষেই দূর করে দিতে সক্ষম জীবনের যাবতীয় ক্লান্তি। তাইতো মোরা-

“কাটিয়ে এলাম দুই দিনে

কক্সবাজার ও বান্দরবনে।“

 

১৭ মার্চ ২০২০খ্রিষ্টাব্দ জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) এর তত্ত্বাবধানে আমরা ১১৫ তম শিক্ষা প্রশান ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্সের অধীনে ৩৭ জন প্রশিক্ষণার্থী ও প্রফেসর ডঃ মোঃ লোকমান হোসেন, পরিচালক (নায়েম) এবং জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম,উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ; নায়েম) ও কোর্স পরিচালক মহোদয়গণের সমন্বয়ে আমরা একটি দল পাহাড়ি কন্যার সবুজ আঁচলের মিষ্টি হাওয়া গায়ে মাখতে বান্দরবনে; আর সাগরের নোনা জলে জীবনের ক্লান্তি ধুয়ে নিব বলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পাড়ি দেই ।

 ১৭ মার্চ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ ; দুপুর ২টা ৩০ মিনিট। শুভ যাত্রার নিমিত্তে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর তায়ালার নিকট সাহায্য কামনা করে আনন্দ পরিবহনের নির্দিষ্ট বাসে উঠে আসন গ্রহণ করি সবাই। নায়েম ক্যাম্পাস হতে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ছুটতে থাকে আমাদের বাস গন্তব্যের দিকে। অজানাকে জানার আনন্দ হিল্লোলিত হৃদয় ;পুলকিত সবার মন। তাইতো কেউ কেউ গেয়ে উঠল-

“এই পথ যদি  না শেষ হয়

তবে কেমন হত-----

 

 

কোন কোন কণ্ঠে ধ্বনিত হলো-

আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো

আমায় পরবে মনে কাছে দুরে যেখানেই থাকো

এরপর আসরের নামাজের জন্য যাত্রাবিরতি পেয়ে আমরা “হোটেল টাইম স্কয়ার” এ নামাজ ও চা-নাস্তা দ্রুত সেরে নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করি। চলতে চলতে মাগরিবের নামাজের জন্য যাত্রাবিরতি হলে “নিজকুর ফাজিল মাদ্রাসা, ছাগলনাইয়া, ফেনীতে নামাজ আদায় করেন স্যারেরা। আমরা মহিলারা বাসে বসেই অনেকে নামাজ আদায় করি। তারপর বার ছুটে চলা। চলতে চলতে অবশেষে রাত ১১টার সময় আমরা কাংখিত শহর বান্দরবন পৌঁছাই। তারপর হোটেল হিল ভিউ তে উঠি। সেখানেই রাতের খাওয়া শেষে রাত্রিনিবাস করি। তবে দীর্ঘ যাত্রা পথের বর্ণনা দিতে গিয়ে যে কথাটি না বললে অসমাপ্ত থেকে যাবে তা হলো আনন্দের স্রোতে ভেসে চলা। আমরা সবাই হারিয়ে গিয়েছিলাম-

গানের ভুবনে,কবিতার জগতে,

ফিরে গিয়েছিলাম ফেলে আসা অতীতে

এতটা পথ কি করে পেরিয়ে এসেছি বুঝতেই  পারিনি।

পরের দিন ১৮/০৩/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ খুব সকালে ঘুম হতে উঠে তড়িঘড়ি করে প্রস্তুতি নিয়ে নাস্তা সেরে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে  ৪টি চাঁদের গাড়ীচেপে রওনা দিই শ্যামলী মায়ের পাহাড়ী কন্যার সবুজসিক্ত স্নিগ্ধ রুপ দেখব বলে। যেন-

“অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে

নির্ভয়ে  নীল আকাশ রয়েছে নুয়ে।”

 

পাহাড়ী আঁকা বাকাঁ উঁচু-নিচু মেঠো পথ ধরে প্রবলবেগে  ছুটে  চলে  চাঁদের  গাড়ি।

“প্রচন্ড বাতাসের ঝাপটা

উরু উরু করে দেয় মনটা;

হাওয়ায় উড়তে থাকে ভাবনাটা

ছুঁয়ে দিব আজ নীল আকাশটা।

বিচিত্র ভাবনার দোলনায় দুলতে দুলতে সকাল ৮:০০ ঘটিকায় আমরা পৌঁছে যাই সবুজের সমারোহ বেষ্টিত “মিলন ছড়ি চেক পোস্টে।” যার পাশ দিয়ে রুপের ঝলক নিয়ে বয়ে চলছে সাঙ্গু নদী। চেকিং- এর পর আবারো দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করে  আমাদের  চাঁদের গাড়ি। বৈথানী পাড়া, ম্রলং পাড়া,অদ্রিজা পর্বত কন্যা, গ্রীন হীল, ওয়াইজংশন জামে মসজিদ, বাইট্টা পাড়া, ড্রাগন বাগান পেরিয়ে ছুটে চলল আমাদের গাড়ি। শীতল হাওয়ার ঝাপটা, চারদিকে সবুজের হাতছানি, পাহাড়ের  গায়ে কলা আর আনারসের দিগন্তজোড়া বাগান। এ ছাড়া মেহগনি, ইউক্যালিপটাস, জারুল, বাঁশ, কাঁঠাল, বেল, তেঁতুল, আম সহ নানাজাতের গাছ। জবা,রঙ্গন, কৃষ্ণচূড়া প্রভৃতি ফুলের গাছ। পাহাড়ের গায়ে কোথাও কোথাও ছোট ছোট ঘর। অনেক দূর পর পর দু’একখানি দোকানঘর চোখে পড়ল। পথে পথে যেতে যেতে আরো চোখে পড়ল দু’একজন পাহাড়ী লোকজন। তারা যেন কত ব্যস্ত! কেউ কলার কাঁদি ঘাড়ে চেপে চলছে, কেউবা বন্য কাঠের বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে; কেউবা পেটের দায়ে কাজের তাগিদে হন্যে হয়ে ছুটছে। তাদের দেখে মনে হলো-

“কে বলে ভাই আমরা অলস? কে বলে ভাই আমরা ক্ষীণ?

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে  আনবই আমরা নতুন দিন।”

 

যাহোক আমরা ক্রমশ উঁচু পাহাড়ে উঠে যাই। চলতে চলতে মনে হচ্ছিল আমরা যেন ডানা কাটা পরীর বেশে মেঘের দেশে হারিয়ে যাচ্ছি। অবশেষে সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় আমরা “চিম্বুক পাহাড়”-এর চূড়ায় পৌঁছি। ভুপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা প্রায় ৩,৬০০ ফুট। পাহাড়ের নিচে তাকালে মেঘ চোখে পড়ছে। চিম্বুক  পাহাড়ের দু’ধারের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেড়ে নেয় মন। সাঙ্গু নদীর সর্পিল গতি আর মায়াবি রুপ হাতছানি দিয়ে আজো ডেকে যায় মোরে। হৃদয়ে বেজে উঠে সেই গানের সুর-

তুমি যে সুরের আগুন জ্বালিয়ে দিলে মোর প্রাণে,

সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে---।

 

অপরুপ সৌন্দর্য সুধায় বিমোহিত হয়ে আমরা মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করি নিজেদের; স্মৃতির অ্যালবামে অম্লান করে রাখব বলে। এরপর চাঁদের গাড়ি চেপে ছুটে চলি “নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র”-এর দিকে। এখানকার মাটির রঙ লালচে মনে হলো। এম্পুপাড়া, ক্যাকেনীল ও কফি সোপ পেরিয়ে বেলা ১০টা ১৫ মিনিটে আমরা “নীলগিরি হিল রিসোর্ট” পৌঁছাই। ভূপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা প্রায় ২২০০ ফুট। মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী। ফুলের গাছ, সুসজ্জিত বিশাল পার্ক, গেস্ট হাউসের  ওয়ালে চমৎকার কারুকার্য; পুরো পার্কের বর্ণনা নখদর্পণে তুলে ধরার নিমিত্তে নিখুঁতভাবে প্রস্তুত মানচিত্র সত্যি প্রশংসার দাবীদার। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য নির্মিত আসনগুলো অতীব সুন্দর। ছোটদের জন্য আনন্দ বিনোদনের সুব্যবস্থা রয়েছে। আরো আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এখানে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সুন্দর বিমানবন্দর।

এককথায় বলতে গেলে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র যেন এক অনবদ্য সৃষ্টি। এমন মনোরম দৃশ্য ছেড়ে আসতে সাঁই দিচ্ছিলনা মন। কিন্ত ঘড়ির কাঁটা বলছে-

আমার যাবার সময় হলো দাও বিদায়---।’

 

 তাইতো চাঁদের গাড়ী চেপে আবারো ছুটে চলা। যেতে যেতে পথের ধারের ছোট ছোট দোকানে দেখলাম – কলা, পেঁপে, তেঁতুল, বড়াই, আম, কাঁঠাল, আঙ্গুর, বেল, ডাব, খেঁজুর প্রভৃতি ফলের সমারোহ। পাহাড়ের গায়ে রোপণ করা হয়েছে নানাজাতের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ। জুমচাষের জন্য কোথাও কোথাও জঙ্গল কেটে ফেলা হয়েছে। চলতে চলতে দু’একটা গরু, ছাগল ও ভেড়ার দল দেখতে পেলাম।

দু’ধারের সবুজ বনানী আর বিশুদ্ধ হাওয়ায় মন যেন পাগলপারা-

“পাগলা হাওয়ার এমন দিনে

কত পুলক জাগে দেহ মনে - -”

 

এরপর দুপুর ০১:০০ ঘটিকায় আমরা “ক্যাফেনীল এন্ড রিসোর্টস”- এ নেমে পড়ি।

এখানে গায়ের চাদর, ব্যাগ, গামছা, ছোটদের পোষাক, বিভিন্ন কসমেটিকসহ ফলের দোকানে যার যা ইচ্ছে ক্রয় করি। এখানের যে আকর্ষণীয় বিষয় না বললে অসমাপ্ত থেকে যাবে তা হলো-“শৈলপ্রপাত” নামক জলপ্রপাত। এখানে এসে রবীঠাকুরের ‘ঝর্ণার গান’ কবিতাটির কথা মনে পড়ে গেলো। উঁচূ পাহাড় হতে প্রবলবেগে ঝর্ণা ধেয়ে চলছে। ফেরার পথে সাংগু উচ্চ বিদ্যালয়, উপপরিচালকের কার্যালয়, পোস্ট অফিস প্রভৃতি চোখে পড়ল।

এরপর ‘হোটেল ভিউ’-এসে দুপুরের খাবার সেরে আবার দুপুর ০২:৪০ ঘটিকায় আমরা রওনা দিই স্বর্ণমন্দির দেখব বলে। বিকাল ০৩:০০ ঘটিকায় পৌঁছে যাই অনেক কারুকার্য খচিত “স্বর্ণমন্দির”-এ। এর চারদিকে ঘোরাঘুরি করি এবং স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে ধরে রাখতে ক্যামেরায় বন্দী করি নিজেদের।

এরপর ০৩:৩০ রওনা দিই “নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র”। এখানকার অপরূপ সুন্দরের সমারোহ মুগ্ধ করেছে আমাদের। শুরুতে বাউলের গান শুনি। তারপর সাজ-সজ্জা খচিত বসার স্থানগুলো , বিভিন্ন কারুকার্য, দোলনায় দোল খাওয়া প্রভৃতি সবমিলে আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই।

এরপর মেঘলার দিকে পা বাড়াই। পশ্চিম বালাঘাট জামে মসজিদ, বান্দরবন সরকারী মহিলা কলেজ, বালাঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালাঘাট বাজার, বালাঘাট তাত বোর্ড, বান্দরবন পুলিশ লাইন স্কুল, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, বান্দরবন বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল দ্য প্যারাডাইস, কাশেম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বান্দরবন জেলা পরিষদ প্রভৃতি পেরিয়ে ০৩:৪৫ ঘটিকায় “মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র”-এ পৌঁছি। এখানকার ‘ঝুলন্ত সেতু’ সত্যিই বিস্ময়কর। তাছাড়া সেতুর নীচে বয়ে যাওয়া নদী, কারুকার্য খচিত বসার স্থানগুলো মনোমুগ্ধকর। এর ভিতরে নামাজঘর ও টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। আবার ছোট ছোট কিছু দোকান রয়েছে; সেখানে বিভিন্ন ফল ও পানীয় জাতীয় খাবার পাওয়া যায়। তাছাড়া খাঁচাবিশিষ্ট ছোট ছোট কক্ষে ভালুক, হরিণ, চিতাবাঘ, বনবিড়াল,খরগোশ রাখা হয়েছে। সবকিছু দেখে ফেরার সময় সিড়ি বেয়ে অনেক উপরে উঠতে গিয়ে হাফিয়ে যাই সবাই। ০৫:৩০ মেঘলা হতে বিদায় নিয়ে ‘হোটেল ভিউ’-তে ফিরে আসি। খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাসে উঠে পড়ি। সন্ধ্যা ০৬:৩৫ আমাদের বাস চলতে শুরু করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। তারপর অনেক পথ-ঘাট পেরিয়ে অবশেষে রাত ১০:০০ ঘটিকায় আমরা “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত” পৌঁছি। এরপর রাত্রিনিবাসের নিমিত্তে ‘Grand Beach Resort’-এ উঠি আমরা। তারপর ‘মাছরাঙ্গা হোটেল’-এ রাতের খাবার সেরে অনেকেই প্রশিক্ষক স্যারদের সঙ্গে রওনা দেন সী বীচ দেখবেন বলে। কিন্তু বর্তমানের বহুল আলোচিত ‘করোনা ভাইরাস’-এর জন্য সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার দরুণ প্রশাসনিক লোকজন বাঁধা দেওয়ায় সী বীচ দেখার সৌভাগ্য হলোনা আর। পরের দিন ১৯/০৩/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ ভোরে অনেকেই সী বীচে গিয়েছিলাম; কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকার দরুণ পানিতে নামতে পারিনি। অগত্যা সমুদ্রের অদূরে দাঁড়িয়ে অনেকেই ক্যামেরাবন্দী করি নিজেদের; স্মৃতির পাতায় অম্লান করে রাখব বলে। শুধু তাই নয়; সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষাসফরের আনন্দকে ছাইচাপা দিয়ে সকাল ১১:০০ টার দিকে ঢাকা ফেরার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে পড়ি। ‘করোনার’ আতঙ্কে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে আমাদের মাঝে। এরপর চলতে চলতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ন্যায় অনুভব করি- ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’। ‘হোটেল জামান’ , জিই,সি মোড়, চট্টগ্রাম-এ দুপুরের খাবার সেরে ০৪:০০ টার দিকে আবার যাত্রা শুরু। পথিমধ্যে শুনতে পাই- নায়েমের যাবতীয় প্রশিক্ষণ স্থগিত হয়েছে। এমনকি আগামীকাল সকাল ০৮:০০ ঘটিকার মধ্যে নায়েমের হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে। সংবাদটা শোনার পর সবাই অস্থির হয়ে পড়ি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের সুযোগ নেই বলে বাসের মধ্যেই সংক্ষিপ্তভাবে বিদায়ী কথা বলে সবাই সবার নিকট হতে বিদায় গ্রহণ করি। রাত প্রায় ১১:০০ ঘটিকায় আমরা নায়েম ক্যাম্পাস, ঢাকা এসে পৌঁছাই।

 

              শিক্ষাসফরের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো, প্রীতির বন্ধনে বাঁধা চেনা মুখগুলো হয়তো বা আর কোনদিন ফিরে পাবনা। কিন্তু মনের মণিকোঠায় সেসব চিরভাস্বর হয়ে রবে।

 

“সেদিন আমার মাঝে আজো বেঁচে আছে;

চলে গেছে দিন তবু স্মৃতি রয়ে গেছে।”

 

 

                                                মোছাঃ মারুফা বেগম

                                                        প্রধান শিক্ষক

                                                          খগা বড়বাড়ী বালিকা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।

                                                                   ডিমলা, নীলফামারী।

                                          ১১৫তম শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স (নায়েম),                                                                                           ঢাকা,বাংলাদেশ।

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি