Loading..

ম্যাগাজিন

২০ এপ্রিল, ২০২১ ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ

ইতিহাসের সাক্ষী সেন পরিবার

পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির নাম মিলন সেনগুপ্ত। পরার মতো একটি মাত্র জামা আছে তাঁর। আজকে সেটি ধুয়ে দিয়েছেন তাই খালি গায়ে রয়েছেন তিনি। শুকানোর আগ পর্যন্ত এভাবেই থাকতে হবে তাঁকে।


মিলন সেনগুপ্ত সাধারণ কোনো পরিবারের মানুষ নন। চট্টগ্রামের কীর্তিমান পুরুষ, উপমহাদেশের বিখ্যাত বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী যাত্রামোহন সেনগুপ্ত এর একমাত্র বংশধর। টলমটল চোখে তাকিয়ে থাকা মিলন সেনগুপ্ত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু স্বীকৃতি পাননি। শেষ দিনগুলো তাঁর কেমন যাচ্ছে সহজে অনুমেয়। চলমান করোনা সংকটে চন্দনাইশ থানার ওসি তাঁর বাড়িতে গিয়ে এই অবস্থার কথা জানান।  


তাঁর পূর্বপুরুষ যাত্রামোহন সেন (জেএম সেন) যিনি প্রতিষ্ঠা করেন চট্টগ্রাম শহরে টাউন হল (জেএম সেন হল) ডাঃ খাস্তগীর মাধ্যমিক বালিকা স্কুলসহ অনেক শিক্ষা—সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, মন্দির এমনকি নূর মহম্মদ তরফ নামে মসজিদের ভূমিও দান করেছিলেন। তাঁর ছেলে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ছিলেন আরেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। যিনি প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ও ব্যারিস্টার। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র বিপ্লবীদের সাথে কাজ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়ায় বার বার কারাবন্দি হয়েছিলেন। মৃত্যুবরণও করেছিলেন কারাগারেই। যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের স্ত্রী ভিনদেশী নেলি গ্রে (নেলি সেনগুপ্ত) ছিলেন আরেক বিখ্যাত মানুষ। রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী। হেটেছিলেন স্বামীর পথেই। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী হয়েছিলেন। উপমহাদেশের রাজনীতি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং শিক্ষাবিস্তারে ঐতিহাসিক অবদান বরমা সেন পরিবারের।


ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর আর খামখেয়ালি।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি