Loading..

খবর-দার

২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:১০ পূর্বাহ্ণ

রসনা হাতে ভাজা মুড়ি......................

চলছে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রোজা পালন শেষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন বাহারি খাবার দিয়ে ইফতার করে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম মুড়ি। আর সেই মুড়ি যদি হাতে ভাজা হয়, তবে তো সোনায় সোহাগা।

হারিয়ে যেতে বসে হাতে ভাজা মুড়ির ঐতিহ্য। কিন্তু শত বছরের এই ঐতিহ্যটি ধরে রেখেছে কুমিল্লার বরুড়ার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৪০টি পরিবার। রমজান শুরুর আগে থেকেই গ্রামটিতে থাকে রমজান মাসের জন্য মুড়ি ভাজার ব্যস্ততা। হাতে ভাজা মুড়ির জন্য গ্রামটি প্রসিদ্ধ। বৈশাখের খরতাপ। তার মধ্যে দুপুরে কাঠের চুলা জ্বালিয়ে মুড়ি ভাজছেন নারীরা। কেউ মুড়ি চালুন দিয়ে পরিষ্কার করছেন। পুরুষরা মুড়ি বস্তায় ভরে মুখ সেলাই করছেন

কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের লক্ষণ পালের বাড়িতে এই দৃশ্য দেখা যায়। কারো কথা বলার সুযোগ নেই। পরিবারের ছেলে বুড়ো সবাই ব্যস্ত। গ্রামের পাশে পিকাপ ভ্যানে ও ট্রাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে মুড়ির বস্তা। সেগুলো যাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

লক্ষণ পাল জানান, তাঁরা সারা বছর মুড়ি ভাজেন। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা রয়েছে। হাতে ভাজা মুড়িতে শুধু লবণ পানি দেওয়া হয়। এগুলো খেতেও সুস্বাদু। দাম একটু বেশি হলেও সচেতন মানুষ হাতে ভাজা মুড়িই বেশি খোঁজ করেন। কুমিল্লায় আগে বরুড়ার রামমোহন বাজার সংলগ্ন গোপালনগর ও দাদিসারে বেশি মুড়ি ভাজা হতো। সেখানে এখন মুড়ি ভাজা কমে এসেছে। শুধু লক্ষ্মীপুরে বেশি ভাজা হয়। রোজার সময় তাঁদের মুড়ির চাহিদা বেশি। তাই ব্যস্ততাও বেশি। তাঁরা এখন গিগজ ধানের মুড়ি ভাজছেন। আরো পরে ভাজবেন টাবি ধানের মুড়ি।

ঐ বাড়ির দুর্গাচরণ পালের কাছে জানা যায়, গ্রামের ৪০ পরিবার প্রতিদিন প্রায় ৮০ বস্তা মুড়ি ভাজেন। প্রতি বস্তায় ৪৫ কেজি মুড়ি থাকে। তাঁরা পাইকারি প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা বিক্রি করেন। খুচরা বাজারে তা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এবার চালের দাম বেশি হওয়ায় তেমন লাভ পাবেন না। আশা করছেন, টাবি ধানের মুড়িতে লাভ করতে পারবেন।