প্রভাষক
২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ
মঙ্গল গ্রহে দিন-রাতের বিস্তর ফারাক, আবহাওয়ার হালহকিকৎ জানাল নাসার রোভার
মঙ্গল গ্রহে দিন-রাতের বিস্তর ফারাক,
আবহাওয়ার হালহকিকৎ জানাল নাসার রোভার
·
Thu, Apr 22, 2021,
20:16
মঙ্গলের পৃথিবীর পর
সূর্যমণ্ডলের দ্বিতীয় গ্রহ হিসেবে কি বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে লালগ্রহ মঙ্গল?
সম্প্রতি নাসা যে নয়া আবিষ্কার সামনে এনেছে, তাতে আশার আলো ফুটেছে মহাকাশ
বিজ্ঞানীদের মনে। মঙ্গলে রোভার নামিয়ে তৈরি করা গিয়েছে অক্সিজেন। সেইসঙ্গে নাসার
রোভার পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গলের আবহাওয়ার চালচিত্র তুলে ধরেছে।
মঙ্গল দিনের বেলা তপ্ত,
মুহূর্তে জল বাস্পে পরিণত
নাসার পক্ষ থেকে যে তথ্য
সামনে আনা হয়েছে, তাতে অক্সিজেন তৈরির পাশাপাশি মঙ্গলের দিন ও রাতের আবহাওয়া নিয়েও
বিস্তারিত বলা হয়েছে। মঙ্গল দিনের বেলা তপ্ত থাকে। তাপমাত্রা প্রায় ৮০০ ডিগ্রি
সেলসিয়াস বা ১৪৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। মঙ্গলপৃষ্ঠে সামান্য যেটুকু জল থাকে, তা
সূর্যের প্রখর তাপে বাষ্পে পরিণত হয়ে ভেসে বেড়ায়। তা দেখে মঙ্গলের আকাশে মেঘ
জমেছে মনে হয়।
রাতে তাপমাত্রা মাইনাস
১২৫ ডিগ্রি, ঝিরিঝিরি বরফ ঝরে
এর পাশাপাশি রাতের
আবহাওয়া নিয়েও বিস্তারিত জানিয়েছে নাসা। মঙ্গলে রাত বাড়লেই তাপমাত্রা মাইনাস ১২৫
ডিগ্রি হয়ে যায়। আর ওই বাষ্প ঝিরিঝিরি বরফ হয়ে নেমে আসে নিচে। মঙ্গলে বরফ গলে জল হওয়ার
সম্ভাবনা খুবই কম। দিনের বেলায় যেটুকু জল থাকে, সেটুকুই। এর বাইরে জলের সন্ধান
মেলেনি মঙ্গলে।
মঙ্গলে শীত বেশি থাকে,
মাঝেমধ্যে তুষার ঝড়ও হয়
লাল গ্রহের দক্ষিণাংশে
শীত আবার বেশি থাকে। মাঝেমধ্যে তুষার ঝড়ও হয়। যেমন মঙ্গলে দিন ও রাতের মধ্যে
ফারাক বিস্তর হয়, তেমনই ঋতুর বদলও হয়। নাসার পাঠানো রোভার পারসিবিয়ারেন্স মঙ্গলের
আবহাওয়ার বৈচিত্র্য সব ধরে ফেলেছে। এমনকী মঙ্গলে শব্দ কেমন হয়, তাও রেকর্ড করে
পাঠিয়েছে রোভার।
মঙ্গলের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি
রেকর্ড করে পাঠিয়েছে রোভার
মঙ্গলে পাহাড়ের গায়ে
রশ্মির প্রতিফলনের শব্দ বড়ই বিচিত্র। কয়েক সেকেন্ডের সেই অডিও ক্লিপও শুনিয়েছে
নাসা। মঙ্গলের মাটিতে রোভার ল্যান্ড করার সময় ধুলো ওড়ার শব্দও পাঠিয়েছে পৃথিবীতে।
সেইসঙ্গে বাতাস বয়ে যাওয়ার শনশন শব্দও তারা শুনিয়েছে। অক্সিজেন তৈরির পাশাপাশি
পাহাড়ের খাতের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি শুনছে রোভার। আর তা পাঠিয়ে দিচ্ছে এই ধরায়।
মঙ্গলের আবহাওয়ার
হালহকিকৎ নাসার হাতের তালুতে
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে
কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। সেই কার্বন ডাই অক্সাইডকে
অক্সিজেনে বদলে দিতেই শুরু হয়েছিল নাসার গবেষণা। নাসার গবেষকরা, মঙ্গলে দু-চাকার রোভার
নামিয়ে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মঙ্গলের মাটিতে নাসার রোভার গড়গড়িয়ে চলছে। তা
বাতাস থেকে কার্বনডাই অক্সাইড নিয়ে অক্সিজেনে বদলে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে মঙ্গলের
আবহাওয়ার হালহকিকৎও পরিবেশন করছে রোভার।মঙ্গলের বুকে অক্সিজেন
তৈরি করল নাসার রোভার! তবে কি লালগ্রহেও গড়ে উঠবে আস্তানা