Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

মঙ্গলের বুকে অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভার!

মঙ্গলের বুকে অক্সিজেন তৈরি করল নাসার রোভার! তবে কি লালগ্রহেও গড়ে উঠবে আস্তানা-  Apr 22, 2021, 20:24

 এই বসুন্ধরায় প্রকৃতির বুকে অক্সিজেনের অভাব নেই। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে আছে শ্বাসবায়ু। এবার পৃথিবী ছাড়িয়ে গ্রহান্তরেও পাওয়া গেল অক্সিজেনের অস্তিত্ব। পৃথিবীর নভোচারীরা মঙ্গলে গিয়ে তৈরি করলেন অক্সিজেন। অবাক করার মতোই ঘটনা। নাসার রোভার পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গলের বাতাস ছেঁকে বের করে আনল অক্সিজেন।

লালগ্রহের বাতাসে অক্সিজেন আবিষ্কার




 

লালগ্রহের বাতাসে অক্সিজেন আবিষ্কার নাসার বিজ্ঞানীরা এক মাহেন্দ্রক্ষণে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা মঙ্গলের বাতাসে শ্বাসবায়ুর আবিষ্কার করে ফেললেন অবশেষে। এতদিন নাসার বিজ্ঞানীরা রকেটে করে পৃথিবী থেকে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে গিয়েছেন মহাকাশে পাড়ি দিতে। এবার লালগ্রহের বাতাসে অক্সিজেন আবিষ্কারের ফলে মঙ্গল-যাত্রায় কাজে লাগবে সেই অক্সিজেন।

মঙ্গলেও বাসস্থান গড়ে তোলার স্বপ্ন!




 

মঙ্গলেও বাসস্থান গড়ে তোলার স্বপ্ন! মহাকাশ বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন ছিল, চাঁদের মাটি স্পর্শ করে বাঙ্কার বানানোর। মঙ্গলেও বাসস্থান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই স্বপ্নই কি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছে দিন দিন নিত্য নতুন আবিষ্কারের ফলে। চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকলেও মঙ্গলে বায়ুমণ্ডল পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই বায়ুমণ্ডলে পেলেন অক্সিজেনের অস্তিত্ব।

নাসার রোভার গড়গড়িয়ে চলছে মঙ্গলে

 

 নাসার রোভার গড়গড়িয়ে চলছে মঙ্গলে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। সেই কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে বদলে দিতেই শুরু হয়েছিল নাসার গবেষণা। নাসার গবেষকরা, মঙ্গলে দু-চাকার রোভার নামিয়ে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মঙ্গলের মাটিতে নাসার রোভার গড়গড়িয়ে চলছে। তা বাতাস থেকে কার্বনডাই অক্সাইড নিয়ে অক্সিজেনে বদলে দিচ্ছে।

রোভারের বিশেষ যন্ত্রে অসম্ভব হল সম্ভব

 

রোভারের বিশেষ যন্ত্রে অসম্ভব হল সম্ভব নাসার বিজ্ঞানীরা রোভার পারসিভিয়ারেন্সকে মঙ্গলের মাটিতে শুধু জল আর প্রাণের খোঁজ করতে পাঠায়নি। কার্বন ডাই অক্সাইডকে কীভাবে অক্সিজেনে বদলে দেওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়া শিখিয়ে পাঠানো হয়েছিল রোভারকে। রোভারে ছিল মার্স অক্সিজেন ইন সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপিরিমেন্ট। এই যন্ত্রেরই কাজ হল কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন বের করে আনা।

মঙ্গলে নভোচারীরদের পাড়ি দেওয়ার রাস্তা

 

মঙ্গলে নভোচারীরদের পাড়ি দেওয়ার রাস্তা গত ২০ এপ্রিল রোভার ওই কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে বের করে এনেছে অক্সিজেন। এই সাফল্যের পর মার্স অক্সিজেন ইন সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপিরিমেন্ট বা মোক্সির প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর মাইকেল হেচেট বলেন, মঙ্গলে নভোচারীদের নিয়ে যেতে অক্সিজেন দরকার। যে বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন রকেটের জ্বালানি ও শ্বাসবায়ুর জন্য দরকার, তা পৃথিবী থেকে নি্য়ে যাওয়া অসম্ভব।

প্রতি ঘণ্টায় ১০ গ্রাম করে অক্সিজেন তৈরি

 

প্রতি ঘণ্টায় ১০ গ্রাম করে অক্সিজেন তৈরি মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি হওয়ায় এবার নভোচারীদের নিয়ে যাওয়া সুবিধা হবে। মোক্সিতে ২৫ টন অক্সিজেন তৈরি হতে পারে। তবে তা তৈরি করতে প্রচুর তাপ দরকার। ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কনজারভেশন হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ গ্রাম করে অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। আর মঙ্গলের বায়ুস্তর পৃথিবীর ১০০ ভাগের ১ ভাগ মাত্র।

Read more at: https://bengali.oneindia.com/news/international/nasa-invents-oxygen-by-their-rover-in-planet-of-mars-after-lengthy-research/articlecontent-pf231868-131161.html?ref_medium=Desktop&ref_source=OI-BN&ref_campaign=Topic-Article

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি