Loading..

ব্লগ

রিসেট

১৬ জুন, ২০২৫ ০২:৪৬ অপরাহ্ণ

১ম-৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে শিখন মান যাচাইয়ের রেকর্ড সংরক্ষণ ছকে দ্বিধা
           জুন মাস-২০২৫ ইং এর এবারের চাহিদাভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল প্রথম-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিখন মান যাচাই। এ বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে একটু দ্বিধায় পড়লাম ইংরেজি বিষয়ের শিখন মান যাচাই নিয়ে। বাংলা বিষয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলাম একজন শিক্ষার্থীর পারগতার উপর ভিত্তি করে তাকে কোডিং সিস্টেম অনুযায়ী একটা মানদন্ডে নিয়ে গিয়ে অবস্থান যাচাই করা হয়েছে। যেমন ১,২,৩,৪,০,৯। আর অবস্থান অনুযায়ী অতি উত্তম, উত্তম, চলতিমান, চলতিমানের নিচে। পঠন দক্ষতার ক্ষেত্রে  ৬ টা উপাদান বা ধাপ রয়েছে- বর্ণ জ্ঞান, ধ্বনি সচেতনতা, শব্দভাণ্ডার, সাবলীলতা, বোধগম্যতা, অনুসিদ্ধান্ত। ধরি, আমি ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বর্ণজ্ঞান যাচাই করলাম। এক্ষেত্রে আমার শিক্ষার্থী যদি সব বর্ণ চিনে তাকে আমি কোড দিলাম ৪ বা অতি উত্তম। আবার আরেকজন শিক্ষার্থী কিছু বর্ণ পারল না। এক্ষেত্রে তাকে সহয়তার প্রয়োজন পড়ল। তাকে কোড দিলাম ৩ বা চলতিমান। গণিতের ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীর কতটুকু ঘাটতি আছে তা নির্ণয়ের সুযোগ আছে। যেমন - ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীর যদি শিখন মান যাচাই করি , তাকে গুণ দিলাম ৫ টি। সেখানে সে পেরেছে ৩টি তাহলে গুণে তার শতকরা কত ভাগ ঘাটতি রয়েছে তা নির্ণয় করার সুযোগ আছে। এবার আসি , ইংরেজি বিষয়ে। ইংরেজি যেহেতু একটা বিদেশি ভাষা, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়কে ভয়ও পাই বেশি। ইংরেজিতে পড়া বা লিখার ক্ষেত্রে পারগতার ভিত্তিতে টিক চিহ্ন এবং ক্রস চিহ্ন এর কথা বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বড় শব্দগুলো উচ্চারণে শিক্ষকের সহয়তার প্রয়োজন হয়। ধরি, একজন শিক্ষার্থীকে একটা টেক্সট পড়তে দিলাম। সেখানে সে ৫০% পেড়েছে , বাকি ৫০% পারেনি। সেক্ষেত্রে তাকে আমি রেকর্ডে কিভাবে সংরক্ষণ করব? ৫০% পেরেছে সেজন্য তাকে টিক চিহ্ন দিব নাকি ৫০% পারেনি তার জন্য ক্রস দিব। আবার লিখার মান যাচাইয়েও  একই সমস্যা। নিজের সম্পর্কে লিখতে দিলাম। কিছু পেরেছে , বানান ভুল হয়েছে । সে ক্ষেত্রে কী করা উচিত? আমার ছোট্ট জ্ঞানে ১টা পরামর্শ হলো, ৩ টা বিষয়কে শিখন মানের বিষয়বস্তুর উপর ভাগ করে কাছাকাছি পর্যায়ের মানদন্ডে রাখা। আপনাদের পরামর্শ আশা করছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 
মন্তব্য করুন