Loading..

ডকুমেন্ট

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিখনের ক্ষেত্র- প্রয়োগ

 

প্রয়োগঃ প্রয়োগ হচ্ছে জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের তৃতীয় ধাপ। খুব সহজে প্রয়োগ বলতে আমরা বুঝি, জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত কোন ধারণা, পদ্ধতি, সূত্র বা কোন অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তবক্ষেত্রে/নতুন বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে/সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীর কাজে লাগানোর ক্ষমতা।

  উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ‘বেগম রোকেয়ার মত সমাজের মানুষের কল্যাণের জন্য তুমি করতে পার এমন পাঁচটি কাজের নাম লেখ।’ কিংবা ‘ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরি কর।’ এ প্রশ্নগুলো প্রয়োগমূলক। কারন, একজন শিক্ষার্থী নিজে কী করবে সে তথ্য পাঠ্যপুস্তকে নেই।  শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যাংশ থেকে  বেগম রোকেয়ার জীবনী পড়্‌, পাঠের মর্ম অনুধাবনের পর আরও গভীর চিন্তা করে নিজ জীবনে তা প্রয়োগের চিন্তা থেকে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে কিংবা খাবার স্যালাইন তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠ্যাংশ থেকে জেনে হাতে-কলমে তৈরি করতে পারলেই সেটি হবে তার  প্রয়োগশীলতা।  

 

এক্ষেত্রে শিখনফল হতে পারে নিম্নরূপঃ

v  শিক্ষার্থী যথাযথ বিরামচিহ্ন ব্যবহার করে কোন কিছু লিখতে পারবে।

v  শিক্ষার্থী যথাযথ বিরামচিহ্ন ব্যবহার করে পড়তে পারবে। 

v  শিক্ষার্থী বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক পরিবেশে প্রয়োজনীয় আদব-কায়দা প্রকাশ করতে পারবে।

v  শিক্ষার্থী যোগ-বিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

প্রয়োগশীলতা ক্ষেত্রের শিখনফলকে নিম্নোক্ত ক্রিয়াপদ ব্যবহার করে লেখা যায়।

পরিবর্তন করা, পছন্দ করা, গণনা করা, প্রদর্শন করা, আবিষ্কার করা, নাটকে রূপান্তরিত করা, উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা, অনুশীলণ করা, প্রস্তুত করা, উপস্থাপন/উৎপাদন করা, তালিকাভুক্ত করা, নকশা/খসড়া প্রস্তুত করা, সমস্যা সমাধান করা, কাজে লাগানো, প্রয়োগ করা ইত্যাদি।

একটি কার্যকর ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরির মূলভিত্তি হল জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগ। তাই এক্ষেত্রগুলো সহজে বুঝতে আমার এ লেখা যদি আপনাদের নূন্যতম সহযোগিতা করে থাক্‌, তবেই আমার চেষ্টা ও শ্রম সার্থক।  

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি