Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৯ জুন, ২০২১ ০৯:৪১ অপরাহ্ণ

নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সহকারি শিক্ষাক, পলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রোহিতা,মনিরামপুর,যশোর।

      সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম সর্বাধিক গুরত্ব দিয়ে এ দেশের  শিক্ষার। শিক্ষার সাধনের আত্ন নিয়োগ করেন। এ আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রাম, রাজনৈতিক মতাদর্শ, স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্ঠির তথা প্রত্যাশা, প্রান্তিক ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয়ে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বর্তমান  প্রজন্ম যেমন আত্ননিরীক্ষনের সুযোগ পাবে এবং কর্তব্য স্থির করবে তেমনি নতুন প্রজন্ম জাতির পিতার মানব প্রেম, দেশপ্রেম, অন্যায় অত্যাচার- নিপীড়নের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম, আত্নত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।

পাকিস্তান আমলের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষাকে কুক্ষিগত করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। এবং শিক্ষাকে সংকুচিত করার প্র্যাস প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে। স্বাধীনতার পর সমস্ত সীমার দ্ধতী সত্ত্বেও নবগঠিত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা নিয়ে সচেতনতা পাওয়া যায়। তিনি শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করার এবং উন্মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়ার নানা আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশাল সংখ্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করণ করা।

তিনি নারীদের লেখাপড়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে ছিলেন, ক,খ, জানলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না, শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে একেক জন সত্যিকার অর্থেই আলোকিত মানুষ হতে হবে। আজকে আমরা যে অবস্থানে রয়েছি তার শুরু  করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের এদিক দিয়েও দুর্ভ্যগ্য যে, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা বিষয়ক কর্মকান্ড , ভাবনাও দর্শন নিয়ে বৃহৎ পরিসরে তেমন কোন বিস্তার গবেষনা হয়নি।                                         

 বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থায় অভূতপূর্ব কিছু পরিবর্তন করেছেন। পরিবর্তনের দিক হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে। প্রশিক্ষণযোগ্য শিক্ষক এর পরিবর্তনের মুলদিক।  শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর এর জন্য যুব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার বিষয়বস্তুর ডিজিটালাইজেশন করা আবশ্যক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া এখন সহজসাধ্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষায় নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা প্রদান করাও এখন সম্ভব। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন আসছে, তা এখন আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এটি সম্ভব হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে। ইন্টারনেট এখন শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্বকে অবারিত করে দিয়েছে। যে যেখানে আছে, সেখানে থেকেই পৃথিবীর যেকোনো উৎস থেকে শিক্ষামূলক তথ্য আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে।