প্রভাষক
৩০ জুন, ২০২১ ০৬:১৭ অপরাহ্ণ
প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন
শসা খাওয়ার উপকারিতা
মানবদেহের
সুস্থতায় শসা নানাভাবে কাজ করে।
শসা সবজি নয়। উদ্ভিদবিজ্ঞানের
সঙ্গানুসারে এটা একটি ফল। কারণ ফুল থেকে হয় শসা যাতে থাকে বীজ। একই ভাবে অনেক
সবজিই আসলে ফল, যেমন- শুঁটি, ক্যাপ্সিকাম, কুমড়া এমনকি টমেটো।
ফল খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো;
শসাও তাই।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে
প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দৈনিক খাদ্যতালিকায় শসা রাখার উপকারী দিকগুলো এখানে
দেওয়া হল।
হজমে
সহায়তা: শসার ভিটামিন, খাদ্য আঁশ এবং
পানি খাবার হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন শসা খাওয়া হলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
হাড়
মজবুত করে: শসাতে আছে ভিটামিন কে এবং
ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত রাখে। ভিটামিন কে হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে এবং
ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের
সুস্থতা: শসাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম,
পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই তিনটি উপাদান হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য
করে। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত
শসা খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন কে রক্ত
জমাট বাঁধা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চুল ও
নখের উন্নতি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে
শরীর সুস্থ থাকবে এবং এর প্রভাব দেখা যাবে চুল ও নখে।
আর্দ্রতা
রক্ষা: শসার ৯৫ শতাংশই পানি যা শরীর
আর্দ্র রাখতে ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পানি পানের কথা ভুলে গেলেও
প্রতিদিন শসা খাওয়া হতে পারে উপকারী।
হরমোনের
ভারসাম্য রক্ষা: শসাতে আছে ফসফরাস যা হরমোন
নিয়ন্ত্রণকারী মূল পুষ্টি উপাদান। শসাতে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস থাকে যা প্রাপ্ত
বয়স্কদের প্রয়োজন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শসা রাখুন।
মানসিক
চাপ কমায়: ভিটামিন বি ওয়ান, ভিটামিন বি
ফাইভ এবং ভিটামিন বি সেভেন শসাতে পাওয়া যায়। যা উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক
কোমল ও উজ্জ্বল করে: এর ঠাণ্ডা ও আর্দ্র রাখার
উপাদান মলিন ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন বি-নায়াসিন,
রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি এবং জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে। বিউটি ক্রিমের বদলে
নিয়মিত শসা খাওয়া ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক।
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন
প্রভাষক
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
আগানগর ডিগ্রি কলেজ,
বরুড়া, কুমিল্লা।
এবং
ICT4E District
Ambassador at a2i.
Best Content
Developer at a2i.
(সূত্রঃ
অনলাইন ডেস্ক )