আমরা যখন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক তখন তারা বিভিন্ন সমস্যার থাকার পরও একটি সফল অনলাইন ক্লাস নেয়ার প্রাণবন্ত চেষ্টা করে। বেশির ভাগই শিক্ষক নাকি দুটো ঘরে বসবাস করে। একটিতে সন্তানেরা অন্যটিতে শিক্ষক নিজের ও তার স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ থাকে। দিনে তারা ক্লাসের কথা চিন্তাই করতে পারে না। কারন করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে সন্তানেরা বাসাতেই থাকে। ফলে রাতে যখন সন্তানেরা ঘুমায় তখন নাকি নিরাপদ মনে করে ক্লাসের জন্য। নিজ ঘরে ক্লাস শুরু করার চেষ্টা করে তখন নাকি ন্ত্রীর সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর একটু আরামের জন্য সেই ঘর ব্যবহার করে। ফলে ব্যর্থ হয়ে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন নাকি শুরু করেন ক্লাস রেকর্ড। ক্লাসের শব্দে স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে বিরক্তিকর কিছু শব্দ আসলে আবার নাকি শুরু করে ক্লাস।
আর খুব সকালে যখন স্ত্রী হাঁটতে বের হয় তখন নাকি নেন লাইভ ক্লাস। তবে তিনি খেয়াল রাখেন হেঁটে ফেরার আগেই ও সন্তানেরা ঘুম থেকে উঠার আগেই ক্লাস শেষ করতে হবে। ফজরের নামাজ পড়েই নাকি শুরু করেন ক্লাস। বিরক্তিকর শব্দ এড়ানোর জন্য ফ্যান বন্ধ রাখতে হয়। এসি নেয়ার সক্ষমতা না থাকায় গরম সহ্য করে ঘেমে যাওয়ার ভয় নিয়েই নাকি ক্লাস নিতে হয়। আইপিএস রাখার ক্ষমতা না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আবার শুরু করতে হয় সেই ক্লাসটি।
আবার যারা গ্রামে থাকেন তারা নাকি লাইভ ক্লাসের কথা চিন্তাই করতে পারেন না দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য। ফলে ক্লাস রেকর্ড করে তারা নাকি ছুটে চলেন নেটওয়ার্কের জন্য থানা বা জেলা সদরে করোনার ভয় এড়িয়ে।
আবার আমরা যারা ম্যাডাম আছি তারা নাকি এ সমস্য গুলো ছাড়াও আরো নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হয়। স্বামী ,সন্তান,সংসার ঠিক রেখে আরো বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকা স্বত্বেও তারা নাকি অনলাইন ক্লাস নেন।
এভাবেই জয়ী হয় একজন শিক্ষক। শিক্ষক তুমি বেঁচে থাকো ,বেঁচে থাকো জাতির কান্ডারি হয়ে , বেঁচে থাকো আমাদের সবার অন্তরে ভালোবাসা দিয়ে ও নিয়ে।
শুভেচ্ছান্তে
প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
হাপানিয়া দোগাছী জাঃউঃ আলিম মাদরাসা
তানোর, রাজশাহী।
#ICT4E জেলা এ্যাম্বাসেডর, রাজশাহী (২০১৮)